গত ৩ নভেম্বর রাতে র্যাবের হাতে আটক হয় দেওভোগের পেশাদার ছিনতাইকারী আকাশ। তবে এর দুদিন পরই জামিনে বের হয়ে আসেন এই অপরাধী। এরপর স্থানীয় এক ব্যক্তিকে সড়কে আটকে রেখে মারধরও করেন। মারধরের শিকার ওই ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ শরিফ। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ওরে (আকাশ) র্যাব ধরে নেয়ার পরে আমি একটা নিউজে খবর পাইসি। নিউজটা আমি ফেইসবুকে শেয়ার করছি। এটাই আমার অপরাধ হইসে। অয় আমারে এই কারণে মারধর করসে। তবে এই মারধরের ঘটনায় শরিফ থানায় কোনো অভিযোগ দিতে আগ্রহী নন। কারণ সে যান বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন সে এরআগে র্যাবের হাতে আটক হয়ে দুদিনের মাথায় বের হয়ে এসে এলাকায় বিশৃঙ্খলা করেছে।
জানতে চাইলে র্যাব ১১‘র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল মাসুদ খান বলেন, আমরা তো ওকে আটক করে ফতুল্লা থানায় হস্তান্তর করেছি। এরপর দুদিনের মাথায় কিভাবে এই অপরাধী ছাড়া পেল সেটি আমাদের জানা নেই। তবে এ বিষয়ে এলাকার মানুষ সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দিলে আমরা পুলিশকে সহযোগীতা করবো।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ফতুল্লা থানার ওসিকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ নাসির আহম্মেদ বলেন, আমরা ১১ তারিখ সকালে একটা ফোন পাই। ফোনে বলা হয় দেওভোগ পানির ট্যাংকি এলাকায় এক ছিনতাইকারী জেল থেকে ছাড়া পেয়ে এসে এলাকার বিশৃঙ্খলা করছে এবং সে যুবলীগ কর্মী। আমি বিষয়টি জানতে পেরে সাথে সাথে পুলিশ পাঠাই। কিন্তু এর আগেই সে পালিয়ে যায়। তবে তাকে এবং তার সহযোগীদের দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে দেওভোগ পানির ট্যাংকি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিভিন্ন সময় এলাকার মাদক বিক্রেতাসহ অপরাধীদের পুলিশ, র্যাব ও ডিবি ধরে নিয়ে যায়। তবে যাদের ধরে নেয়া হয় তারা সর্বোচ্চ ৭ দিন জেলে থাকে। এরপর আবার এলাকায় ফিরে এসে অপরাধ শুরু করে।








































আপনার মতামত লিখুন :