ছোট-খাটো রেস্তোরাঁর মত শহরের বড় বড় রেস্তোরাঁগুলোতে পচা-বাসি খাবার পাওয়া গেছে। প্রতিনিয়ত হাজারো ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লেগে থাকে এসব রেস্তোরায়। গ্রিল ও রোস্ত ফ্রিজিং করা অবস্থায় ৮ ডিসেম্বর সুগন্ধা প্লাসে উদ্ধার করে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এতে রেস্টুরেন্টে বাসি গ্রিল রাখার অপরাধে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এমন জরিমানাকে স্বাগত জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।
জানা যায়, ৮ ডিসেম্বর ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিকের নেতৃত্বে সুগন্ধা প্লাসে অভিযান চালায়। এ সময় রেস্তোরায় সংরক্ষিত ফ্রিজে অবিক্রিত খাবার পাওয়া হয়।
অভিযানে হৃদয় রঞ্জন জানান, অভিযান পরিচালনাকালে সুগন্ধা প্লাস রেস্টুরেন্টের তৃতীয় তলায় সংরক্ষিত ফ্রিজে আগে রান্না করা বাসি গ্রিল, চিকেন চাপ, শিক কাবাবসহ অন্যান্য খাবার পাওয়া যায়। সরল বিশ্বাসে খেতে আসা ভোক্তাদের বাসি খাবার পরিবেশন আইনত দণ্ডনীয়। এ অপরাধে রেস্তোরাঁটিকে লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এর আগে শহরের হাজী বিরিয়ানিতে পচা-দুর্গন্ধ অভিযোগে করেছিলে ক্রেতারা। এই নিয়ে মিডিয়া ও নেটিজনের মধ্যে তুমুল সমালোচনা হলেও প্রশাসন বা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযান দেখা যায়নি।
ভুক্তভোগী কয়েকজন ক্রেতারা জানান, বড় বড় রেস্তোরাগুলোতে পচ বাসি খাবার সরবরাহ করা হয়। জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে কোন অভিযোগ স্থান নেই। রেস্তোরাগুলোতে খাবার সংরক্ষণ ও পরিবেশনের স্থান অপরিষ্কার কারণে বাসি খাবার দ্রুত নষ্ট হয়। বেশিভাগ রেস্তোরাঁয় আগের দিনের রান্না করা বাসি মাংস, মাছ, বা অন্যান্য উপাদান ব্যবহার করে। যার কারণে বাসি খাবার ভালোভাবে গরম না করায় খাবারে ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হয়ে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা।








































আপনার মতামত লিখুন :