ঢাকা
শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২
প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরচর্চা শিক্ষক পদ পুনর্বহালের দাবিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে ১৪ নভেম্বর বিকাল ৪টায় চাষাড়া শহিদ মিনারের সামনে প্রতিবাদী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট
নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক নাছিমা সরদার, জেলা সদস্য আহম্মেদ রবিন স্বপ্ন, সরকারি তোলারাম কলেজের সংগঠক ইফতি আহমেদ জিহাদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. সায়েম মিয়া প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সংস্কৃতিকর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবির ফলে শিশুদের শারীরিক মজবুত গঠন ও সুষম মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে প্রাথমিকে সংগীত ও শরীর চর্চা শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হয়েছিল। বিশেষ করে প্রযুক্তিনির্ভর নেশা, মাদক সেবন, কিশোর গ্যাং, জঙ্গীবাদী প্রবণতা থেকে শিশু কিশোরদের রক্ষা করতে সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা ও খেলাধূলার বিকল্প নেই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সরকার কয়েকটি ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক দলের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। এটি সরকারের আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত। এই চিহ্নিত ধর্মীয় ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী তালেবানী কায়দায় বাংলাদেশে শিক্ষা কাঠামো তৈরি করতে চায়। এরা শারীরিক ও মানুষিকভাবে একটি পঙ্গু প্রজন্ম তৈরি করতে চায়।
এই চিহ্নিত সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর হুমকি ধামকীতে গত বছরে অক্টোবর মাসে পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটি বাতিল করেছে সরকার। এ বছরের জানুয়ারিতে পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘আদিবাসী’ গ্রাফিতি সরিয়ে দিয়েছে। ৫ আগস্টের পর থেকে এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ‘মব’ তৈরি করে মাজার-মন্দির আক্রমণ, ভাঙচুর, ভিন্ন মতাবলম্বীদের হত্যা, কবর থেকে লাশ তুলে পুড়িয়ে ফেলা, মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ভাংচুরের মতো ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে।
বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলেও হেফাজত ইসলামের দাবির মুখে পাঠ্যপুস্তক থেকে দেশপ্রেম ও অসাম্প্রদায়িক বার্তাবাহী লেখা বাদ দিয়েছিল, শুধুমাত্র ‘হিন্দু’ ও ‘মুক্ত চিন্তার’ হওয়ার কারণে। একদিকে শ্রমজীবী মানুষ তাদের রুটি-রুজির জন্য রাস্তায় নামলে লাঠি পেটা করে-গুলি করে হত্যা করে, শিক্ষকদের মিছিলে জলকামান ব্যবহার করে, অন্যদিকে ধর্মীয় ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা করে সরকার। প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষকের পদ বাতিল করার সিদ্ধান্ত তার ধারাবাহিকতা মাত্র।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ এবং বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে প্রাথমিকে শারীরিক ও সংগীতের শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে শিশু কিশোরদের মানবিক বিকাশের রাস্তা খুলে দেওয়ার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। একই সাথে প্রাথমিকে শারীরিক ও সংগীতের শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে শিশু কিশোরদের মানবিক বিকাশের রাস্তা খুলে দেওয়ার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন :