তারেক রহমানকে নিয়ে দৃষ্টতা দেখালে জবাব দেওয়ার নির্দেশ

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ঢাকা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল বলেন, খুব শীঘ্রই তারেক রহমান বাংলাদেশে ফিরে আসবে। তাই ষড়যন্ত্রকারীদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারেক রহমানের সাথে লন্ডনে ইউনুসের মিটিং করে নির্বাচনের দিন তারিখ ঠিক করেছেন। সেই নির্বাচন বাধা গ্রস্থ করা হচ্ছে। তারেক রহমানকে নিয়ে আর কটুক্তি করলে সে যে দলের ই হোক কঠোর জবাব দেয়া হবে। গোপালগঞ্জ আর মিটফুড সকল ষড়যন্ত্র ই প্রকাশ পাচ্ছে।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এরপর যদি তারেক রহমানকে নিয়ে কেউ বাজে মন্তব্য করে। কেউ এমন দৃষ্টতা দেখালে আপনারা তাৎক্ষণিক জবাব দেবেন সে যেই দলের লোকই হোক না কেন।

শনিবার ১৯ জুলাই বিকেলে জেলা বিএনপির উদ্যোগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ন মন্তব্য করার প্রতিবাদে খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে যে পরিবারের ভূমিকা রয়েছে সেটি হলো জিয়া পরিবার। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এরপর দেশে যখন গণতন্ত্র ছিলো না জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু হয়েছে। তাকে হত্যার মাধ্যমে আবারো গণতন্ত্র আটকে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করে পুনরায় গণন্ত্রন উদ্ধার করেছিলেন। এরপর দেশি বিদেশী চক্রান্তে স্বৈরাচার হাসিনাকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। খালেদা জিয়া তারেক রহমানের নেতৃত্বে হাসিনা বিরোধী আন্দোলন হয়েছে। পতিত স্বৈরাচার আবারো বিদেশী অর্থায়নে জিয়া পরিবার নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। এরজন্য আজকে বিক্ষোভ মিছিল।

এর আগে জেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালের সামনে এসে জড়ো হয়। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে চাষাঢ়া হয়ে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু, মাসুকুল ইসলাম রাজিব, জেলা যুবদলের আহবায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সহ অন্যান্যরা।