শনিবার ১৯ জুলাই বিকেল ৪টায় আলি আহমেদ চুনকা পাঠাগারের এক্সপেরিমেন্টাল হলে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের আয়োজনে জুলাই অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি ছাত্রনেতা ফারহানা মানিক মুনার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৃজয় সাহার সঞ্চালনায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের জুলাই অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
সভায় অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয়কারী জননেতা তরিকুল সুজন, সহ-সমন্বয়কারী আলমগির আলম, নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, মহানগর সমন্বয়কারী বিপ্লব খান, নির্বাহী সমন্বয়কারী পপি রানি সরকার, সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী শিমুল, সৌরভ হোসেন সিয়াম, আইইটি শিক্ষক মাহামুদুন নবী পিয়ালসহ আরও অনেকে।
সভায় বক্তারা বলেন, "আমরা জীবন বাজি রেখে প্রত্যেকে অড়াই করেছি। এই লড়াই শুধু শেখ হাসিনা নামক ব্যক্তির পলায়নের জন্য না। আমরা লড়াই করেছিলাম বৈষম্যের বিরুদ্ধে। জীবনের বিনিময়ে হলেও চেয়েছিলাম মর্যাদা-অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।"
সভায় বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে মানুষের যে আকাঙ্খা তৈরি হয়েছিলো তা নিঃশেষ হবার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, জুলাইয়ের জনআকাক্সক্ষা বাস্তবায়নে অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মধ্যে ঐক্য ধরে রাখা দরকার ছিলো কিন্তু অভ্যুত্থানকে গোষ্ঠীগত স্বার্থে ব্যবহার করতে গিয়ে তারা অভ্যুত্থানের এই ঐক্যকে ভেঙে দিয়েছে। দীর্ঘ ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে জুলাইয়ে হাজারো মানুষের রক্তের উপরে দাঁড়িয়ে যে অভ্যুত্থান তাকে শুধুমাত্র একটি পার্টি গঠন করতেই তারা নিঃশেষ করে ফেলেছেন। তরুণদের রাজনীতির নামে পশ্চাৎমুখী রাজনীতিকে তারা অবলম্বন করেছেন আর এটাকে তারা নাম দিচ্ছেন নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। তাদের এই নতুন বন্দোবস্ত মানুষ মানবে না, আমরা এমন একটা বন্দোবস্তের জন্য লড়েছি যেখানে সকলের সমানাধিকার থাকবে, গণতান্ত্রিক অধিকার থাকব, সকল মানুষের মর্যাদা নিশ্চিত হবে।"
আপনার মতামত লিখুন :