News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

খালেদা জিয়ার জন্য নৌকার সেন্টুর মায়াকান্না


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৫, ১০:২৭ পিএম খালেদা জিয়ার জন্য নৌকার সেন্টুর মায়াকান্না

বিএনপি থেকে দল বদল করে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিলেন কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু। এরপর শামীম ওসমানের হাত ধরে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়েছিলেন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে। নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভও করেন তিনি। কিন্তু ৫ আগস্টের পর নিজের আত্মীয় স্বজন আর ফতুল্লা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীদের ম্যানেজ করে বিএনপিতে প্রবেশ করতে উঠে পড়ে লেগেছেন। বিএনপিতে যোগ দিতে না পারলেও এলাকায় ঠিকই ব্যানার ফেস্টুন করে নিজের বিএনপি পরিচয় জাহির করতে শুরু করেছেন।

সোমবার কুতুবপুরে সেন্টুর উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে সেন্টু। সে স্বশরীরে উপস্থিত না থাকলেও তার অনুগতদের দিয়ে এই দোয়া অনুষ্ঠান পালন করায়। এই অনুষ্ঠানের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় উঠে। দলের দুঃসময়ে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া সেন্টুর এখন খালেদা জিয়ার জন্য মায়াকান্না কেবল তার স্বার্থের বিষয় বলে মন্তব্য করেন অনেকেই। সেই সাথে নিজে হাজির থাকতে না পারা তার ব্যক্তিগত দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ বলেও মন্তব্য করেন কেউ কেউ।

মনিরুল আলম সেন্টুর বিরুদ্ধে ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে একাধিক মামলা দায়ের করা হলেও তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। স্থানীয় বিএনপির একাংশের সমর্থন নিয়ে নিরাপদেই আছেন তিনি। নিজ এলাকায় ঝুলছে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সাথে নিজের পোস্টার। অথচ এই এলাকাতে ৫ আগস্টের আগে শোভা পাচ্ছিলো শেখ মুজিব, ফ্যাসিস্ট হাসিনা, হাসিনাপুত্র জয় এবং শামীম ওসমানের সাথে তার নিজের ছবি সাটানো পোস্টার।

গণঅভ্যুত্থানের পর পিঠ বাঁচাতে রাতারাতি নিজের দল বদলেছেন সেন্টু। বিষ্ময়কর ভাবে বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরাও তাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। নানান ছলচাতুরি করে বিএনপিতে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। তার নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী দিয়ে সেগুলো অনলাইন এবং অফলাইনে প্রতিষ্ঠার কাজ করে যাচ্ছেন। যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে সেন্টু ও বিএনপির একাংশ। শুধু সেন্টু একা নন, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহু অচেনা কর্মী এভাবেই ঘোল পাল্টে আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগ দিয়েছে।

সূত্র বলছে, গত কয়েকমাসে কুতুবপুর থেকে উল্লেখযোগ্য কোন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়নি। অধিকাংশই অবস্থান করছে নিজ নিজ এলাকায়। যার অন্যতম কারিগর হিসেবে দেখা হচ্ছে সেন্টুকে। সে নিজে নিরাপদে থাকার পাশাপাশি তার সাথে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করা ব্যক্তিরাও আছে নিরাপদে। কাউকে কাউকে পাঠানো হচ্ছে বিএনপির কর্মসূচীতে। নিজের পেছনে লোকবল দেখানোর জন্য আওয়ামী লীগের লোকজনকে বিএনপির কতিপয় নেতা আশ্রয় দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, বিএনপির মধ্যে সুবিধাভোগীদের কারণে যেমন সেন্টুর মত লোকজন আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে ঢুকতে পেরেছে। ঠিক সেভাবেই আওয়ামী লীগের লোকজন এখন বিএনপিতে পুনর্বাসিত হচ্ছে বা বিএনপির সুবিধাভোগীদের হাত করে নিজেদের নিরাপদে রাখছে। তবে থেমে নেই তারা, ধীরে ধীরে সংগঠিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সুযোগ পেলেই পিঠে ছুড়ি বসিয়ে দিবে জুলাই আন্দোলনে যুক্ত হওয়া আন্দোলনকারীদের উপর।

Islam's Group