রোজার আগে নারায়ণগঞ্জের বড় বড় বাজারগুলোতে সংকট দেখা দিয়েছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের। বিশেষ করে ১ মার্চ নগরীর দিগুবাবুর বাজারে এসে ক্রেতাদের অনেকেই তেল কিনতে না পেরে খালি হাতে ফিরে গেছেন। আর যারা কিনিছেন তাদের গুনতে হয়েছে বাড়তি টাকা। অর্থাৎ বোতলের গায়ে ৫ লিটার তেলের দাম ৮২০ টাকা লেখা থাকলে কিনতে হয়েছে ১০২০ টাকা দিয়ে। এ সময় ক্রেতা বিক্রেতাদের কথা কাটাকাটিতে বিব্রতকর পরিস্থিতিও সৃষ্টি হয় বাজারে।
ক্রেতাদের দাবি, সিন্ডিকেট করে অতীতের মতো এবারো এক শ্রেনির মুনাফালোভী ব্যবসায়ী তেলের সংকট দেখাচ্ছে যার কারণে অতিরিক্ত দামে দিয়ে ক্রয় করতে হচ্ছে।
অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, তীর, বসুন্ধরাসহ করপোরেট ব্যবসায়ীদের কারণে রোজার আগে তেলের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। সরকার যদি রোজার আগে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আচরণ করতে পারতো তাহলে এই সমস্যা হতোনা।
দিগুবাবুর বাজারে আনোয়ার হোসেন নামে ক্রেতার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সব সময় উৎসব কিংবা অন্য কিছু হলে যেমন করে বাজারে তেলের সংকট তৈরি করা হয় এবার সেটাই হয়েছে। গত করোনার সময় যেই তেলের বোতল আমি ৪২০ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম সেটাই আজকে ১০২০ টাকা চাচ্ছে। আপনি হিসেব করে দেখেন করোনা গেছে কত বছর হয়েছে। আর এই কয়েক বছরে কতটাকা দাম বেড়েছে। এই চুরিগুলো কারা করছে? তাদের কেন ধরা যাচ্ছেনা।
বাজারে আসা নার্গিস বেগম নামে এক নারী বলেন, তেল তো খুঁজেই পাচ্ছিনা। যেই দোকানে পাই সেখানে দাম চায় আকাশছোঁয়া কি করবো বলেন? দাম তো যেমন তেমন, তেলের দাম শুনেই অনেক বিক্রেতা মুখ কালো করে ফেলছে। কিছুদিন আগেই এমন অবস্থা দেখেছি। তবে আমার ধারনা বর্তমান সরকার সুযোগ পেলে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবে। কারণ বাজারে অনেক কিছুর দামই দেখছি তুলনামূলক কম।
দিগুবাবুর বাজারের মুদী দোকানী মোহাম্মদ জহির বলেন, নিতাইগঞ্জ আর এই বাজারে তীর, বসুন্ধরা, ফ্রেশ, সিটি তেল কোম্পানীর যেসব ডিলার আছে তারা ফয়দা নিতাছে। তারা আমাদের কাছে ৮১৮ টাকার তেল (পাঁচ লিটার বোতলজাত) বিক্রি করে ৮৭০ টাকা এবং কোনো রশিদ দেয়না। তাই আমরা তা ১০ টাকা লাভ করে তারপর বিক্রি করছি। এটা কাস্টমার (ক্রেতা) মানতে চায়না। তাদের সাথে আমাদের প্রতিদিন তর্ক হচ্ছে। কিছু আসাধু ব্যবসায়ীর কারণে আজকে গরীব মানুষের কষ্ট। তাদের এই সুযোগ কারা দিচ্ছে? প্রশাসন নিতাইগঞ্জে যায়না কেন? মুনাফাখোর না ধরলে সমস্যার সমাধান হবেনা।
আপনার মতামত লিখুন :