নির্বাচন ঘিরে মহানগর বিএনপি নেতাদের বার্তা

নারায়ণগঞ্জে আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের তোড়জোড় চলছে। এমপি না হয় মেয়র প্রার্থী হচ্ছেন এমন বার্তা ইতোমধ্যে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে পৌছে গেছে। অন্যদিকে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে নেতা ও ব্যবসায়ীরা তোড়জোড় চালিয়ে যাচ্ছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সৈয়দ গোলাম রসূল রনি নামক এক নেতা লিখেছেন, ‘দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আমাদের সবাইকে দলের হাই কমান্ডের নির্দেশ মেনে চলা উচিত। বিএনপি থেকে কে এমপি আর কে মেয়র প্রার্থী হবেন এবং কারা মহানগর বিএনপির দায়িত্ব পাবেন তা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন জনাব তারেক রহমান মনোনীত করবেন। এই ইস্যুতে দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হলে অন্য রাজনৈতিক দল গুলো সে সুযোগ নিবে। তাই ঐক্যের বিকল্প নেই’।

তাঁর এই লেখা শেয়ার করে দলীয় নেতাকর্মীদের বার্তা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান। এতে কমেন্টেসে ফতুল্লা থানা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আব্দুর বারী ভূইয়া সহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ সহমত পোষণ করেছেন।

অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বিগত আওয়ামী  লীগ সরকারের আমলে যারা বিএনপি'র নাম নিতে ভয় পেতেন এবং বিএনপি'র নাম নেওয়া যারা পাপ মনে করতেন ও বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দালালী করে নিজের ফায়দা লুটেছেন এবং বিএনপির রাজপথের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের সহযোগিতা করেছেন, তারাই এখন বিএনপির বড় বড় পদ এবং বিএনপি থেকে এমপি ও মন্ত্রী হতে চায়। তারা কি দল ও দেশের জন্য জন্য বাঞ্ছনীয় ও উপকারী?’

সম্প্রীতি নারায়ণগঞ্জে সম্ভাব্য এমপি ও মেয়র প্রার্থী হওয়ার একাধিক নেতা ও ব্যবসায়ীকে ইঙ্গিত করেছেন বলে দলীয় নেতা-কর্মী সূত্রে জানা গেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে টিপু গ্রেপ্তার করে দীর্ঘ ৮০ দিনের বেশি জেলে বন্দি ছিলেন। এরপরও তিনি আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা নেয়ায় প্রশংসিত ছিলেন একাধিক সময়ে। একইভাবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খানও একাধিকবার গ্রেপ্তার ও পুলিশী নির্যাতনে ঘটনা রয়েছে আলোচিত। মহানগর বিএনপিতে ঠাঁই না পাওয়া সাবেক কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের আলোচনায় রয়েছেন, তার বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের আমলে ৯০টি বেশি মামলা রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আহবায়ক কমিটির সদস্য আমিনুর ইসলাম মিঠু জানিয়েছেন, অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাফল্যতম বৈঠকে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সম্ভাব্য ১৩তম নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করা হয়েছে। যার মাধ্যমে আমরা নির্বাচনে বাতাসে বইতে শুরু করেছি। গত নয় যাবৎ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়া নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জন আভাস ছিলো, গতকাল বৈঠকে সেটা ফলাফল জানা গেছে। ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অধিনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের দলীয় মনোয়ন প্রত্যাশায় সাবেক এমপি, বতর্মান কমিটির কয়েক নেতা ও ব্যবসায়ী রয়েছেন। যার কারণে মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির বেশিভাগ নেতা-কর্মীরা বিভাজনে রয়েছে। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যার হাতে ধানের শীর্ষ তুলে দিবেন আমরা সকল স্তরের নেতা-কর্মীরা সেই প্রার্থী সাথে থাকবো। জনগণ যেই প্রার্থীকে চাইবেন তারেক রহমান তাকেই দলীয় মনোয়ন দিবেন এমন বার্তা ইতোমধ্যে দেয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের পাচঁটি আসনে বিজয়ী প্রার্থী কারা হতে পারেন, ইতোমধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাই কেউ অতিউৎসাহী না হওয়া ভালো।