করোনার জন্য এবার আগে-ভাগেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে নারায়ণগঞ্জের স্বাস্থ্য বিভাগ। গতকাল শহরের প্রধান দুটি সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্টাফদের সাথে সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তাদের বৈঠকও হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখানো করোনা সেই রকম প্রভাব বিস্তার করেনি। তবুও প্রস্তুতি রাখছেন তারা। সামনে আক্রান্ত বাড়লে হাসপাতালগুলোকে পুরোপুরি করোনা চিকিৎসার জন্য গড়ে তোলা হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডাক্তার মশিউর রহমান বাবু এ বিষয়ে বলেন, আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি রাখছি। যদিও এখনো তেমন কিছু হয়নি। তারপরও সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে, মাস্ক পড়ে সেগুলোর জন্য সচেতনতা তৈরি করার চেষ্টা করছি। আমাদের খানপুর হাসপাতালটি করোনার জন্য বিশেষ একটি হাসপাতাল ছিলো। তবে সেটি ভেঙে পড়েছে। আমরা যদি সামনে করোনার প্রভাব বেশি দেখতে পাই তাহলে এই হাসপাতালকে আবারো আগের রূপ দেয়া হবে।
জানা গেছে, বিগত সময়ে কারোনা ভাইরাস যখন নারায়ণগঞ্জে প্রভাব বিস্তার করে তখন শহরের প্রধান দুটি হাসপাতাল তথা ভিক্টোরিয়া ও খানপুর হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা মুখ থুবড়ে পড়েছিলো। অক্সিজেন সংকট, কিট সংকট থেকে শুরু করে করোনার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় অধিকাংশ রোগীদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছিলো। পরবর্তীদের প্রভাব যখন শেষ পর্যায়ে তখন সেবায় কিছুটা পরিবর্তন হয় বলে জানা গেছে। তবে সম্প্রতি আবারো যখন করোনা নতুন করে চোখ রাঙানো শুরু করেছে তখন এই জেলার হাসপাতালগুলো এর জন্য কতটুকু প্রস্তুত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সবার মাঝে। এরমধ্যে আইসিইউ সেবা নিয়ে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ও শঙ্কা রয়েছে সবার মনে।
মূলত নারায়ণগঞ্জে প্রায় নিরানব্বই শতাংশ হাসপাতালেই আইসিইউ সেবা নেই। হাতেগোনা কয়েকটিতে থাকলেও সেগুলো মধ্যবিত্ত ও নিন্মবিত্তদের হাতের নাগালের বাহিরে। তাই এখন থেকেই আইসিইউ সেবা বৃদ্ধি করতে সংশ্লিষ্টদের পরিকল্পনা গ্রহণ করার আহবানও রেখেছেন অনেকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি এডভোকেট এবি সিদ্দিক বলেন, ঢাকার পাশের জেলা নারায়ণগঞ্জ। কিন্তু আমরা অনেক কিছুতে এখনো পিছিয়ে। এরমধ্যে একটি হলো আমাদের স্বাস্থ্যখাত। এর অবস্থা খুবই খারাপ। গত করোনার সময় সেটা আমরা দেখেছি। তাই এবার আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখা ভালো। কালির বাজারে একটি বহুতল সরকারি ভবন আছে। সেটা কোনো কাজে আসছেনা। চাইলে সেটাকে করোনা বিশেষায়িত হাসপাতাল করা যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :