News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২

এক ওয়ার্ডে বিএনপির দুই সভাপতি


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২৫, ১১:০১ পিএম এক ওয়ার্ডে বিএনপির দুই সভাপতি

নারায়ণগঞ্জ নগরীর ১৪ নং ওয়ার্ডে বিএনপির সভাপতি দুইজন। একজন নন্দীপাড়া এলাকার বাসিন্দা হাজী মনির আর আরেকজন দেওভোগ আখড়া এলাকার দিদার খন্দকার। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানের ব্যানার ফেস্টুনে তারা একসঙ্গে ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতির পদ ব্যবহার করছেন। তবে এক ওয়ার্ডে একাধিক ব্যক্তি নিজেদের সভাপতি দাবি করায় বিষয়টি নিয়ে বিব্রত ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তারা এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং সমাধানও চেয়েছেন। কারণ এতে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন সবাই।

বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, ২০২২ সালে কেন্দ্র থেকে মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটিতে সাখাওয়াত হোসেনকে আহবায়ক ও আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে সদস্য সচিব করা হয়। পরে তারা মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করলে ১৪ নং ওয়ার্ডে হাজী মনিরকে সভাপতি করা হয়। তবে সে সময় মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে সাখাওয়াত ও টিপুকে শীর্ষ পদ দেয়ায় এর বিরোধীতা করে কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন ১৫ জন নেতা। একপর্যায়ে তারা মহানগর বিএনপির বিদ্রোহী গ্রæপ হিসেবে পরিচিতি পান এবং তারাও মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে পাল্টা কমিটি গঠন করে দেন।  তখন ১৪ নং ওয়ার্ডেও সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি ঘোষণা করেন মহানগর বিএনপির বিদ্রোহী গ্রুপের নেতা আব্দুস সবুর খান সেন্টু ও  আতাউর রহমান মুকুল। মূলত তাদের দেয়া কমিটিতেই দিদার খন্দকারকে সভাপতি করা হয়। কিন্তু এই কমিটিকে ভুয়া ও অবৈধ বলেছেন মহানগর বিএনপির বর্তমান সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু।

তিনি এ বিষয়ে বলেন, আমাদের মহানগর বিএনপির কমিটি দিয়েছে তারেক রহমান। তার কমিটিতে স্থান পেয়ে আমরা সাংগঠনিক নির্দেশনা অনুযায়ী ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কমিটি দিয়েছি। ১৪ নং ওয়ার্ডে আমরা হাজী মনিরকে সভাপতি করেছি। এর বাহিরে যারা নিজেদের সভাপতি বলছেন সেটা ভুয়া ও অবৈধ।

জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির আওয়াধীন ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী মনির বলেন, আমাকেই মহানগর বিএনপি থেকে ওয়ার্ডের সভাপতি করা হয়েছে। আমাদের কমিটিই আসল কমিটি। কিন্তু অনেকে দেখি নিজেরাই কমিটি বানিয়েছে। তারা নিজেদের সভাপতি সেক্রেটারি দাবি করছে। এখন এ বিষয়ে আমরা কিছু বলার নেই। এটা আমি বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর ছেড়ে দিয়েছি।

এ বিষয়ে কথা বলতে ১৪ নং ওয়ার্ডের বিদ্রোহী গ্রুপের সভাপতি দিদার খন্দকারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৪ নং ওয়ার্ডের এক ছাত্রদল নেতা বলেন, একটা ওয়ার্ডে কোনো ভাবেই দুজন সভাপতি থাকতে পারেনা। এখানে একজন আসল আরেকজন নকল। কে আসল কে নকল সেটা তারা নিজেরাই জানেন। তাই যিনি অবৈধ ভাবে নিজেকে সভাপতি বলছেন তার উচিৎ এখান থেকে সরে আসা।

Islam's Group