News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শুক্রবার, ০৬ জুন, ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ, কেয়ারটেকার গ্রেপ্তার


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২৫, ০৪:৫৪ পিএম মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ, কেয়ারটেকার গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার আদর্শ চাষাঢ়া এলাকায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত বাচ্চু মিয়াকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১ এর একটি দল। ৪ জুন র‍্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ এবং র‍্যাব-১৪, সিপিএসসি, ময়মনসিংহ এর যৌথ আভিযানিক দল ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানাধীন পালগাঁও এলাকা আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গত ১৭ মে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানাধীন তল্লা সবুজবাগ এলাকায় জনৈক নজরুল ইসলাম আশিক এর বাসার কেয়ারটেকার এর রুমের ভিতরে ডেকে নিয়ে ১৪ বছরের একটি মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‍্যাব-১১ গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে এবং এজাহার পর্যালোচনায় জানা যায় যে, ভিকটিম সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন পাঠানতলী হযরত ফাতেমা (রাঃ) মহিলা মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। ভিকটিম মাদ্রাসায় আবাসিকে থেকে লেখাপড়া করার জন্য ভিকটিমের পরিবারের নিকট বলে। ভিকটিমের পরিবার ভিকটিমের কথায় রাজি না হয়ে বাসায় থেকে মাদ্রাসায় লেখাপড়া করার জন্য বললে ভিকটিম মাদ্রাসায় আবাসিকে থেকে লেখাপড়া করার জন্য জেদ করে এবং রাগে ক্ষোভে ভিকটিমের ইচ্ছায় মাদ্রাসায় আবাসিকে থেকে লেখাপড়া করবে মর্মে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে ১৬ মে দিনগত রাতে বাসা হতে বের হয়ে উক্ত বাসার কেয়ারটেকার মো. বাচ্চু মিয়ার (৪৮) নিকট হতে গেটের চাবি নিয়ে গেট খুলে বের হয় এবং গভীর রাত হওয়ায় ভিকটিম কেয়ারটেকার এর রুমের পাশে দাড়িয়ে থাকে।

এক পর্যায়ে উক্ত কেয়ারটেকার ভিকটিমকে নিজের রুমে নিয়ে যায় এবং ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ভিকটিম শারিরীক অসুস্থতা বোধ করলে ভিকটিমকে দ্রুত ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল খানপুর নারায়ণগঞ্জ নিয়ে গেলে উক্ত হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করলে পরিবারের লোকজন ভিকটিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করায়।

পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন সহ বাসা মালিক ও স্থানীয় লোকজন আসামীকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে আসামী কৌশলে পালিয়ে যায়। ভিকটিমের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে ভিকটিমের নিকট বিস্তারিত ঘটনা জেনে শুনে আত্মীয় স্বজনের সহিত আলোচনা করে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় এসে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।

Islam's Group