নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক তিন বারের এমপি এডভোকেট আবুল কালাম। শহর-বন্দর ছাপিয়ে গোটা জেলায় একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত তিনি। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে একের পর এক ভুয়া নির্বাচন, অপরাজনীতি ও দুর্বৃত্তায়ন চলছিল তখন নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন কালাম। এরজন্য তার অসুস্থ্যতাও বড় কারণ ছিলো। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে নতুন করে নিজেকে মেলে ধরেছেন আবুল কালাম। তাই বিএনপির কর্মসূচী ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। এটিকে অনেকে আবুল কালামের নতুন অধ্যায় বলেও মন্তব্য করছেন।
গত ৩১ মে শহীদ জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ শহরের একাধিক ওয়ার্ডে গিয়ে দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণে অংশ নেন সাবেক এই সাংসদ। দীর্ঘদিন পর তাকে দেখে শহরের প্রবীণ বিএনপি নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সবার মাঝে চাঞ্চল্য দেখা গেছে।
জানা গেছে, শনিবার সকালে প্রথম নগরীর ১৩ নং ওয়ার্ডের গলাচিপা এলাকায় জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। এরপর একে একে ১৭ নং ওয়ার্ডের পাইকপাড়া, ১৮ নং ওয়ার্ডের শহীদ নগর ও ১৬ নং ওয়ার্ডের ডিআইটি, পাক্কারোড ও বেপারীপাড়া এলাকায় যান আবুল কালাম।
বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নির্বাচন করবেন আবুল কালাম। এ নিয়ে তিনি গণমাধ্যমে নিজের আগ্রহের কথাও ইতিমধ্যে জানিয়েছেন। আবুল কালামের ভাষ্য, দল যদি তার কার্যক্রম বিবেচনা করে তাকে ৫ আসনে মনোনয়ন দেন তবে তিনি অবশ্যই নির্বাচনে দাঁড়াবেন। মূলত একে কেন্দ্র করেই শহর বন্দরে এখন থেকেই সক্রিয় হচ্ছেন তিনি।
মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য ও ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক শফিউদ্দিন সোহেল বলেন, কালাম কাকা আমাদের সবার পছন্দের। কারণ তিনি খারাপ কাজ করেনি। তিনি চাইলে বিগত দিনে অনেক কিছু করতে পারতেন। কিন্তু তিনি সহজ সরল জীবন যাপন করেছেন। এই দীর্ঘদিন পরও তার কদর কমেনি। আজকে তাকে দেখে আমাদের অনেকেই জ¦লে উঠছে। আমরা চাই আগামীতে তিনি আবারো ৫ আসনে এমপি হোক। এরজন্য যা যা করতে হবে আমরা করবো।
আপনার মতামত লিখুন :