নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহিদ হাসান রোজেল বলেছেন, ১৯৭১ সালে যুদ্ধে বিজয়ের পর জিয়াউর রহমান কর্মজীবনে ফিরে গেছেন। শেখ কামালরা যখন রক্ষীবাহিনী নিয়ে লুটপাট করছিল সেই সময় পনেরো আগস্ট ঘটে। সেসময় আওয়ামী লীগের কাউকে মানুষ খুঁজে পায়নি। তারা কেন অদৃশ্য ছিল। কারণ তারা অন্যায় করেছিল। তেমনি ভাবে আজ শেখ হাসিনার পতনের পর আওয়ামী লীগ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবের মৃত্যু থেকে যে শিক্ষা নিয়েছে শেখ হাসিনার ক্ষেত্রেও তাই করেছে। তারা শুধু পালাতে জানে, মানুষের দুঃসময়ে পাশে থাকতে পারে না।
বুধবার ৪ জুন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাসেল মাহাম্মুদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ছিল বলে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছিল বলে এবং তারেক রহমানের দিকনির্দেশনা ছিল তার কর্মীরা ছিল বলে বাংলাদেশকে ভারতের হাতে শেখ হাসিনা বুঝিয়ে দিতে পারেনি। শেখ হাসিনা বলেছে ভারতকে যা দিয়েছি কোনদিনও ভুলতে পারবে না। ভারত ভুলেনি। বাংলাদেশের মানুষ খুনী হাসিনাকে থু থু দিয়েছে।
এই আওয়ামী লীগ মিথ্যার ওপর প্রতিষ্ঠিত। আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবের দল ছিল না। এ দলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। শেখ মুজিব প্রতারণা করে দলটি দখল করেছিল, যেভাবে স্বাধীনতার পর তারা দেশকে দখল করেছিল।
আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানের নাম মুছে দিতে চেয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারা ভারতে থেকে সার্টিফিকেট নিয়েছিল। সরকার ভারতে থাকা নেতাদের সার্টিফিকেট বাতিল করেছে। শেখ মুজিব বলত আমার ডাকে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। যুদ্ধের ঘোষণা দিলে তিনি তো মানুষের কাছে একটি লাঠিও তুলে দেননি। নিরস্ত্র মানুষকে অস্ত্রের মুখে ফেলে পাকিস্তান আর্মির কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল শেখ মুজিব। শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ করেনি, তারা সার্টিফিকেট নিয়েছে। মানুষ দেখেছে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের ঘোষণা আমি মেজর জিয়া বলছি। যুদ্ধ করেছে এদেশের সাধারণ মানুষ। তারা আওয়ামী লীগের কাছে সার্টিফিকেট আনতে যায়নি। সার্টিফিকেটের জন্য তারা যুদ্ধ করেনি, যুদ্ধ করেছে মানুষকে রক্ষা করার জন্য।
আওয়ামী লীগ শুধু বাংলাদেশের সাথে প্রতারণা করতে জানে। যারা প্রতারক তারাই মুজিব আদর্শে বিশ্বাস করে। খুনী হাসিনা পালিয়েছে আর তার দোসররা গর্তে অবস্থান করছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত। আমাদের দাবি ছিল নির্বাচন। যারা নির্বাচিত হবে তারাই দেশ পরিচালনা করবে।
তিনি বলেন, আমরা বিগত সতেরো বছর ধরে ভোট দিতে অপেক্ষা করছি। আমরা দ্রুত ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচিত করবো। নির্বাচিত সরকারের নেতৃত্বে স্বনির্ভর বাংলাদেশ হবে।
আপনার মতামত লিখুন :