নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ মর্গ্যান উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের প্রবাসী কল্যাণ ও মানবসম্পদ উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা শাখার কম্পিউটার অপারেটর মো. হোসেন আহমেদ বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এতে বিবাদী করা হয়েছে সহকারী ইংরেজী শিক্ষক আবদুল বাতেন, সহকারী গণিত শিক্ষক বিনোধ কুমার দেবনাথ, সহকারী রসায়ন শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম, সহকারী বাংলা শিক্ষক কামরুজ্জামান, সহকারী ইংরেজী শিক্ষক হায়াৎ মাহমুদ, সহকারী ইসলাম শিক্ষক আতিকুর রহমানকে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, কতিপয় অনিয়ম তদন্তে পূর্ব নোটিশ প্রদান করে গত ২৯ মে স্কুলে যান জেলা প্রশাসনের একটি টিম। সেখানে একটি সভা করতে আগে থেকে নোটিশ করা হয়। আমরা স্কুলে পৌছানোর পর উক্ত ৬ শিক্ষকক অতর্কিত হামলা করে সরকারী কাজে বাধা প্রদান করে। পরে আমরা দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট সহ অধ্যক্ষ নুসরাত রেবেকার কক্ষে যাই। সেখানে শিক্ষা অফিসের গবেষণা কর্মকর্তা নাজমুন নাহারকে পাই। তখন অধ্যক্ষকে সভার কথা জিজ্ঞাসা করা হয়ে তিনি নোটিশ পায়নি জানান। কিন্তু পরক্ষণে অধ্যক্ষের মোবাইল চেক করে নোটিশের সত্যতা পাওয়া যায়। তখন ম্যাজিস্ট্রেট সভা আয়োজনের জন্য পরিস্থিতি বুঝতে শ্রেণি কক্ষে পরিদর্শন করেন। ওই সময়ে কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন। পরে নিচে নামার সময়ে ৬ শিক্ষক হামলা করে। তাদের সঙ্গে আরো ২০ থেকে ২৫ জন ছিল। হামলার সময়ে ম্যাজিস্ট্রেটকে কিল ঘুষি মারা হয়। এছাড়া অব্যাহত হুমকি দিতে থাকে। প্রায় বেশ কিছুক্ষণ মিলে দফায় দফায় চলে আক্রমন ও হামলা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালেও শুরুতে পরিস্থিতি শান্ত করতে ব্যর্থ হয়। পুলিশ বার বার অনুরোধ করলেও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কক্ষে ফিরে যায়নি। এক পর্যায়ে সদর থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিবৃত্ত করেন এবং ম্যাজিস্ট্রেটকে উদ্ধার করেন।
আপনার মতামত লিখুন :