হ্যাঁলো জাকির খান বলছি টাকা লাগবে

নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন গার্মেন্ট মালিকদের কাছে ফোন করে জাকির খানের নাম বলে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নারায়ণগঞ্জের কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ফোন করেই বলা হচ্ছে ‘হ্যাঁলো জাকির খান বলছি, ছেলেদের পুষতে হয়। তাদের খরচ লাগবে। সামনে ঈদ। টাকা পাঠিয়ে দিয়েন।’ বিপরীতে থাকা ব্যবসায়ীরা এসব ফোন কল পেয়ে রীতিমত এখন আতঙ্কের। গত কয়েকদিন ধরেই এ ধরনের ফোন অব্যাহত রয়েছে।

তবে জাকির খান এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। ২৯ মে পুলিশ সুপারের কাছে দেওয়া অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তিনি জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা। গত কয়েকদিন ধরে তাঁর নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবী করে আসছে। ইতোমধ্যে চাষাঢ়া এলাকার একজন গার্মেন্ট মালিকের কাছে তার নাম ব্যবহার করে চাঁদা দাবী করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদানের কল রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার নাম ভাঙিয়ে চাঁদা দাবী ও গ্রহণ করে তাঁর (জাকির খান) রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করার চেষ্ট করছে।

গত ১৩ এপ্রিল কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান জাকির খান। এর পর থেকেই অনুসারীদের মধ্যে নানা ধরনের উৎসাহ দেখা দেয়। সেদিন তিনি শো ডাউন করে বাসায় ফিরেন। টানা কয়েকদিন কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে জাকির খান সাক্ষাৎ করেন। সম্প্রতি তিনি জিয়াউর রহমানের মাজারে শো ডাউন করে শ্রদ্ধা জানান। সেখানেও কেন্দ্রীয় নেতাদের কয়েকজন গয়েশ^র রায়, হাবিব উন নবী খান সোহেল সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে জাকির খান মুক্ত হওয়ার পর স্থানীয় অনেক নেতা নিয়মিত তার বাসায় গিয়ে হাজির হতে শুরু করে। তুলেন ছবি। আসতে থাকেন অনুসারীরাও।

তবে এখন পর্যন্ত জাকির খানের বিরুদ্ধে সরাসরি কেউ কোন অভিযোগ তুলেনি। কিন্তু তাঁর নামে একাধিকস্থানে চাঁদা দাবী করার বিষয়টি উঠে এসেছে।

জাকির খানের সমর্থক নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষকদলের এক নেতা জানিয়েছেন, গত ১৩ এপ্রিল থেকে দেওভোগ জাকির খানের বাড়িতে কেন্দ্রীয়-স্থানীয় পর্যায়ে হাই প্রোফাইল নেতাদের দেখা গেছে। কেউ খানের ছবি তুলেছেন, কেউ বা তার মায়ের কাছে গোপনীয় সাক্ষাৎ করেছেন। জাকির খানকে বিতর্কিত করতে এক গ্রæপিং অপচেষ্টা চালিয়ে ছিলো। কিন্তু কিং খান তাদের ফাঁদে পা দেয়নি। বরং জাকির খান ২২ বছর রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও স্ব-শরীরে দূরে ছিলেন। সেই দূরত্ব কমিয়ে এখন কেন্দ্রীয় নেতাদের নজরে পড়েছেন তিনি। ৫১ বছর জীবনে জাকির খান বহু বছর মা-ভাই ও স্ত্রী-সন্তান পরিবার ছাড়া থাকতে হয়েছে। এরপর তিনি বিএনপি নেতাকর্মী ও তার সমর্থকদের থেকে দূর থাকেনি।