নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশা তাঁর বাবা সাবেক এমপি আবুল কালাম সম্পর্কে বলেছেন, ‘‘আমার বাবা নারায়ণগঞ্জের অনেক বড় শিল্পপতি না কিংবা অঢেল অর্থের মালিকও না। তিনি নির্বাচন আর রাজনীতি করতে গিয়ে নিজের সহায়সম্পদ অনেক বিক্রি করতে হয়েছে। আমাদের মোট ৬ টা নমিনেশনে কখনোই কনো অর্থের লেনদেন হয়েছে বলে আমার জানা নেই। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের উপর আস্থা রেখেছেন এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সাহেব আমার দাদা জালাল হাজী সাহেবকেও নমিনেশন দিয়েছিলেন। তাই নমিনেশনের ক্ষেত্রে টাকাটাই মূখ্য এটা আমি আমার দলের ক্ষেত্রে অবোজ করছি। আমার বাবা কালাম সাহেব একজন বিচক্ষণ মানুষ। তাই তিনি যে বলেছেন '১৬ বছর মাঠে ছিল না এখন এমপি হতে চায়' এটা একটা মেসেজ। আমরা এসব বিষয় ফেস করে আসছি। দেখেছি নির্বাচন আসলেই যেদলের সম্ভাবনা থাকে অনেকে সেদলের ক্যানডিডেট হতে চায়। দেখা যায় প্রশাসন থেকে বিভিন্ন শ্রেনিপেশার মানুষ নির্বাচনটা করতে চায়।’
তিনি বলেছেন, বন্দর আর নারায়ণগঞ্জ মিলে আমাদের সদরের আসন। বন্দর পৌরসভা করার পেছনে আমার বাবার অবদান ছিল। পরবর্তীতে পৌরসভা থেকে বন্দরটা সিটি করপোরেশনে এড হয়েছে। যার ফলে বন্দরবাসী নাগরিক সুযোগ-সুবিধা যে ভোগ করেছে সেটার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কালাম সাহেবের অবদান রয়েছে। তারপর বাগবাড়ি হাসপাতাল থেকে শুরু করে কদম রসূল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসহ অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড কালাম সাহেব করেছেন। আবার বন্দরের বিভিন্ন পিচ ঢালাই সাবধী থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইউনিয়নগুলোর পিচ ঢালাইয়ের রাস্তায় তার অবদান আছে। সর্বপরি তিনি সৎ মানুষ হিসেবে পরিচিত। নারায়ণগঞ্জে উনিই একমাত্র এমপি ছিল যেকিনা নারায়ণগঞ্জে অফিস করেছেন। আমাদের বাসায় অফিস থাকায় সকাল থেকে যেকোনো সময়ে মানুষের যাতায়াত ছিল। নারায়ণগঞ্জের কোনো এমপি সাহেবদের অফিস না থাকায় মানুষের অবাধ বিচরণও ছিল না। সবমিলিয়ে তিনি নারায়ণগঞ্জের জনগণ এবং দলের জন্য যোগ্য।
সুদিনে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি বিতর্ক হওয়ার বিষয়ে তিনি
আপনার মতামত লিখুন :