নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রিপন(২৫) নামের এক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবক দল এক নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সেচ্ছাসেবকদল নেতার নাম শান্ত খান।
বৃহস্পতিবার ১২জুন বিকেলে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের লস্করবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আসামি রিপন লস্করবাড়ি এলাকার আলী হোসেনের ছেলে।
এদিকে অভিযুক্ত শান্ত খান নারায়ণগঞ্জ জেলা সেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতিতে যুক্ত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে, তার দলীয় পদ নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, আসামি রিপনকে গ্রেফতার করার পর থানায় নিয়ে যাওয়ার সময়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শান্ত খাঁন ও তার সহযোগীরা পুলিশকে বাঁধা দেন। একপর্যায়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে হাতকড়া লাগানো আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়।
ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে সোনারগাঁ তালতলা তদন্তকেন্দ্রের (এএসআই) সেলিম মিয়া জানান, বেশ কিছুমাস পূর্বে এক পুলিশ সদস্যের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল। ওই হামলা মামলার আসামি রিপন। তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে। আমি বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের তথ্যে তাকে গ্রেফতার করে হাতকড়া পড়িয়ে থানায় নিয়ে আসার পথে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শান্ত খান তার দলবল নিয়ে এসে আমাকে বাঁধা দেন। সে বারংবার বলছিল আমরা বিএনপির লোক। তারা উত্তেজিত অবস্থায় ছিল। ঘটনাস্থলে আমার দুজন পুলিশ সদস্য ছিলাম শুধু। একপর্যায়ে আসামিকে আমাদের হেফাজত থেকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন তারা আমাদের ঘিরে ফেলেছিল। উক্ত আসামি এখনো পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সালাউদ্দিন সালুর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা সত্বেও তিনি কল রিসিভ করেনি।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মফিজুর রহমানকেও একাধিকবার ফোন করা সত্বেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) আসিফ ইমামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ছুটিতে রয়েছি। এ বিষয়ে আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে জানার চেষ্টা করছি।
আপনার মতামত লিখুন :