নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেছেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর আমি একটি কল পাই। আমাকে বলা হয় বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। আমি ওনাদের অফিসে আসতে বলি। তারা অফিসে এসে আমার সাথে কথা বলে যে উনারা একটি কন্ট্রাক্ট নিয়েছে ত্রিশ লক্ষ টাকার আমাকে ডুবানোর জন্য। তারা ১৫ লাখ টাকা অলরেডি নিয়েছে। একটা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা আমার বিরুদ্ধে দায়ের করবে, এর প্লট তৈরি হচ্ছে। এজন্য যা যা প্রমাণ প্রয়োজন হয় তা তাদের কাছে আছে।
এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে যে, দলের কাছে এটা প্রমাণ করা যে আপনি একটি বাজে চরিত্রের মানুষ।
আমি জিজ্ঞেস করলাম, কারা এর সাথে জড়িত? উত্তরে জানায়, একটি বিএনপি'র ঐতিহ্যবাহী পরিবারের কথা বলে যা আমি বিশ্বাস যাই না। এটা হতেও পারে না। আমি মনে করি এটা ব্যবহার করা হচ্ছে।
তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী মামলা করবেন এবং পরবর্তীতে এক হাজার লোক নিয়ে কেন্দ্রীয় অফিসে গিয়ে আমার বহিষ্কার ও সদস্যপদ বাতিলের দাবি করবেন। আমি বহিষ্কৃত হবো এবং তাদের নমিনেশন নেওয়ার পথে আর কোন বাধা থাকবে না।
বিষয়টি আমি পুলিশের সদর দপ্তর, ডিএমপিতে লিখিতভাবে জানিয়েছি এবং দলের বিভিন্ন পদে দায়িত্বপ্রাপ্তদেরও জানিয়েছি। তবে আমি বিশ্বাস করি এটি একটি চক্র, চক্রটি ওই ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সাথে আমার বিরোধ বাঁধিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। তবে তারা কারণ আমাকে এ পথ থেকে সরানো সম্ভব হবে না, নারায়ণগঞ্জবাসী আমার পাশে থাকবে আশা করি।
মাসুদ বলেন, বিষয়টি পরে আমি নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করি। তারা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকাতে এ ধরনের আরো কয়েকটি কাজ করানো হয়েছে।
৪ অক্টোবর দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, গত ২২ সেপ্টেম্বর আমি আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদান করেছি। সেই অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সহ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু বিএনপিতে যোগদানের পর থেকেই একটি পক্ষ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাকে হেয় করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা কাঁদা ছোড়াছুড়ির মাধ্যমে আমার অবস্থান দুর্বল করতে চাচ্ছে। আমি বলতে চাই এই ধরনের অপপ্রচার মূলত উপকারে আসে বিরোধীপক্ষের, আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিএনপি'র ভাব মূর্তি। আমাদের সবার দায়িত্ব হলো দলের সম্মান অক্ষুন্ন রাখা এবং রাজনীতিকে গঠনমূলক পথে এগিয়ে নেওয়া। গঠনমূলক প্রতিযোগিতা থাকবে, মতবিরোধ থাকবে, কিন্তু তা যেন কখনো দলের ভিতরে বিভেদ সৃষ্টি না করে। বিরোধীপক্ষ যাতে এর সুযোগ নিতে না পারে, সে বিষয়ে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমি আহ্বান জানাচ্ছি আমাদের জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দকে। যে কোনো আলোচনা আমার সাথে করতে পারেন। আমি সর্বাগ্রে রাজনৈতিক আলোচনা করতে প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, আমার যোগদান প্রক্রিয়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে হয়েছে এবং ঐ অনুষ্ঠানে বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী উপস্থিত থেকে আমাকে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু কেউ কেউ অপপ্রচার করে এটাকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করছেন যে আমি নাকি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে গিয়ে সদস্যপদ সংগ্রহ করেছি অথবা যোগ দিয়েছি। এটা দলের জন্য বা একটি কেন্দ্রীয় অফিসের জন্য অপমানজনক। এইভাবে কটাক্ষ করে কথা বলা ঠিক না বলে আমি মনে করি। সামনের দিনে আমি আরো সবল ও শক্তিশালী হয়ে কাজ করতে চাই যেন নারায়ণগঞ্জে বিএনপিকে সুসংগঠিত করা যায় এবং জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করা যায়। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, তবে অচিরেই বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ত্যাগ এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী দল বিজয়ের পথে এগিয়ে যাবে।








































আপনার মতামত লিখুন :