নগরীর জিমখানা এলাকার মাদক সম্রাট ও দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী তানভীর আহম্মেদ কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১ এর একটি দল। বৃহস্পতিবার ১৯জুন রাতে জিমখানা বস্তি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃত তানভীরের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যাচেষ্টা, মাদক, চুরি সহ মোট ১২টি মামলা রয়েছে। গত ১৪ মে জিমখানা বটতলায় রাসেল পার্কে দক্ষিণ পাশে নিরাপত্তা গেট সংলগ্ন এলাকায় একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তানভীরের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এছাড়াও গত ডিসেম্বর মাসে জিমখানা এলাকায় পুলিশের অভিযান চলাকালে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় তানভীর নেতৃত্বে ছিলেন বলে র্যাব-১১ সিপিসি-১ কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
র্যাব জানান, গত ১৪ মে জিমখানা বটতলা রাসেল পার্ক দক্ষিন পাশে নিরাপত্তা গেট সংলগ্ন এলাকায় একটি হত্যার ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে উক্ত ঘটনায় ভিকটিম এর বোন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এজাহার পর্যালোচনায় র্যাব জানতে পারে, মাহিন আহম্মেদ ভেলকি মাহিম (১৪), নাঈম আহমেদ (২১), প্যাকেজ ফাহিম (২৪), সাঈম (২৪) সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনের সাথে পূর্ব শত্রুতার জেরে কথা কাটা-কাটির একপর্যায়ে বিবাদী ভেলকির নেতৃত্বে অন্যান্যরা একত্রিত হয়ে ভিকটিমকে সুইচ গিয়ার (ছোড়া) ও চাকু দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্নক জখম করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে পথচারীরা মুমূর্ষ অবস্থায় ভিকটিমকে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পুলিশ সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে ভিকটিমের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে মর্গে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তে গ্রেপ্তারকৃত তানভীর ঘটনার সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পায় র্যাব। তানভীর জিমখানা বস্তি এলাকায় মাদকের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের কারণে তার নামে প্রায় ডজন খানেক মামলা নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে এবং গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পলাতক তানভীর কে জিমখানা বস্তি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
আপনার মতামত লিখুন :