নারায়ণঞ্জের সোনারগাঁয়ে প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম শিশির হালদার (২৪)। উপজেলার কাচঁপুর ইউনিয়নের সোনাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ২১ জুন শনিবার দুপুরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাচঁপুর ইউনিয়নের সোনাপুর এলাকার বাসিন্দা কমল হালদারের ছেলে অভিযুক্ত শিশির হালদার ওই শিক্ষার্থীর বাসায় গিয়ে প্রাইভেট পড়াতো। প্রাইভেট পড়ানোর সময় নানা ভাবে ফুসলিয়ে ভুক্তভোগীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। একপর্যায়ে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরবর্তীতে সম্পর্ক চলাকালীন সময়ে অভিযুক্ত শিশির ওই শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে বেশ কয়েকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়ায়। পরে ভুক্তভোগী বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া শুরু করলে সে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে তাদের মেলামেশার ফলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ৩ মাসের অন্তঃস্বত্তা হয়ে যান। পরে অভিযুক্ত শিশির কৌশলে মেয়েটিকে ওষুধের মাধ্যমে পেটে থাকা বাচ্চা নষ্ট করান।
পরবর্তীতে বিষয়টি ওই শিক্ষার্থীর পরিবার জানলে তারা অভিযুক্তের বাবা কমল হালদার ও ছোট ভাই পিয়াস হালদারকে জানায়। নালিশ নিয়ে যাওয়ার পরবর্তীতে তারা মেয়ের বাবা বাদীকে মারধর করে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ের বক্তব্যের জন্য অভিযুক্ত শিশির হালদারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
অভিযুক্তের বাবা কমল হালদার জানান, অভিযোগের বিষয়টি সত্য নয়। এটি মিথ্যা।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :