সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজির দায়ে বহিষ্কৃত যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ ভুঁইয়ার সাথে একই মঞ্চে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহবায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক'কে দেখা যাওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে পুরো জেলায় যুবদলের নেতাকর্মী মাঝে তীব্র ক্ষোভে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার ১জুন বিকেলে উপজেলার পেরাবো এলাকার ফান ল্যান্ড পার্কে শহীদ জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে বসে বিভিন্ন আলাপ ও দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। এর পর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলেই এ বিতর্ক ও সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, দখলবাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৩ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় যুবদলের দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আশরাফ ভূঁইয়াকে সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়কের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। সেই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট ভাষায় নির্দেশনা দেয়া আছে যুবদলের কোনো নেতাকর্মী যেনো তার সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখে। তবে কেন্দ্রীয় যুবদলের এমন সাংগঠনিক সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহবায়ক সাদেকুল ইসলাম সাদেক তার সাথে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেই যাচ্ছে। এতে একাধিবার বিতর্ক সৃষ্টি হলেও এবার পুরো জেলায় 'টক অব দ্যা টাউন' এ পরিনত হয়েছে।
আরও অভিযোগ রয়েছে, বহিষ্কার হওয়ার পর থেকেই জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেকের সঙ্গে আঁতাত করে বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে একাধিকবার বহিষ্কৃত এ নেতার সাথে সোনারগাঁ থানায় সালিশি বৈঠক করেছেন।
সম্প্রতি নারায়গঞ্জের সোনারগাঁয়ে পানামা রেস্টুরেন্টে তারুণ্যের সমাবেশের প্রস্তুতি সভায় সাদেকুর রহমান সাদেকের বলয়ে কিছু সংখ্যক লোক নিয়ে কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল কবির পল' ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল হক জিয়ার সামনে আশরাফ ভুঁইয়া বসলে এক বিতর্ক ও হৈচৈ শুরু হয়।
পরে আশরাফ ভুঁইয়ার এমন উশৃংখল আচরণ ও সাংগঠনিকভাবে বহিষ্কার হওয়া সত্ত্বেও কেনো এই অনুষ্ঠানে আসছে এ নিয়ে শাসিয়ে সভা কক্ষ থেকে বের করে দেন রেজাউল কবির পল। এরপর পুরো পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ নিয়েও নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
অভিযোগ আছে, বহিষ্কৃত নেতা আশরাফ ভুঁইয়া' জামপুরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে । কিছুতেই যেনো তার লাগাম টানা যাচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জেলা যুবদল নেতা জানান, আশরাফ ভুঁইয়াকে চাঁদাবাজি ও তার উশৃংখলার সত্যতা পেয়েই কেন্দ্র থেকে সরাসরি বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সাথে তার সাথে সাংগঠনিক কোনো সম্পর্ক না রাখতে যুবদলের নেতাকর্মীদের বলা হয়েছে। এমন একটি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে কিভাবে আমাদের জেলা যুবদলের আহবায়ক অমান্য করে এটি নিশ্চয়ই সাংগঠনিক বহির্ভূত।
জেলা যুবদলের আহবায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক জানান, আশা করি তার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার হবে।
আপনার মতামত লিখুন :