News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

গরু ছাগলের হাটে ব্যস্ত বিএনপি


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৫, ১০:৩২ পিএম গরু ছাগলের হাটে ব্যস্ত বিএনপি

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি সহ এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কুরবানীর গরু ছাগলের হাট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে। অধিকাংশ এলাকায় হাটের টেন্ডার ড্রয়ের আগেই হাট দখল করে হাটের প্রস্তুতি নিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। জেলা ও মহানগরীর হাটগুলোতে শতভাগ বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নিয়ন্ত্রণে নেমেছেন। প্রতিটা হাট পরিচালনার জন্য স্থানীয় নেতাকর্মীরা তালিকা তৈরি করে হাট পরিচালনার দায়িত্বও গ্রহণ করেছেন। এসব হাট পরিচালনার পেছনে রয়েছেন জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতারা, যেখানে হাটের আয়ের বিরাট অংশ যাবে তাদের পকেটে।

বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, আগামী ৬ জুন পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষে বসছে কুরবানীর পশুর হাট অর্থাৎ গরু ছাগলের হাট। জেলা জুড়ে প্রায় তিন শতাধিক অস্থায়ী হাট বসছে এবারের ঈদে। এ ছাড়াও রয়েছে স্থায়ী বেশকটি হাট। এসব স্থায়ী হাটগুলোর ইজারা অনেক আগেই বিএনপির নেতাকর্মীদের পেয়েছেন। এদিকে অস্থায়ী হাটের ইজারা পাওয়ার আগেই জেলার প্রতিটা হাট বসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বাঁশ ঘেড়ে ও প্যান্ডেল, তোড়ন নির্মাণ করে হাটের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। কোনো কোনো হাটে ইতিমধ্যে পশুও তোলা শুরু হয়ে গেছে।

আরো জানা গেছে, প্রতিটা হাটের নিয়ন্ত্রণের জন্য স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা মিলে সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। এসব সিন্ডিকেটের একজনের নামেই হাটের ইজারা ওঠবে। কারণ এই সিন্ডিকেটের বাহিরের কোনো ব্যক্তি হাটের ইজারার জন্য দরপত্র ক্রয় করতে পারবে না। এর বাহিরের কেউ হাটের ইজারার দরপত্র ক্রয় করলে তাদেরকে দমানো হবে। যেমন করে বন্দরে হাটের ইজারার দরপত্র ক্রয় করতে গিয়ে সাংবাদিক রিপন নামে একজন যুবদল নেতা মিনহাজ মিঠুর হুমকি ধমকির শিকার হয়েছেন। মোট কথা সিন্ডিকেটের বাইরের কেউ হাটের ইজারার দরপত্র ক্রয় করতে পারবে না। সুতরাং ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরাই পাবেন হাটের ইজারা। যে কারনে হাটের ইজারার আগেই হাটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার, সদর উপজেলা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এবং বন্দর উপজেলার সকল হাটগুলোর নিয়ন্ত্রণে নেমেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসব হাটের ইজারা বিএনপি নেতাকর্মীদের বাহিরে পাওয়া তো দূরের কথা, কেউ হাটের ইজারার সিডিউল ক্রয় করতেও পারছে না। অনেকে ক্রয় করলেও তা জমা দিতে দেয়া হবে না। সুতরাং এসব হাটগুলো বিএনপির নেতাকর্মীরাই এবার নিয়ন্ত্রণ করবেন। এসব হাট পরিচালনার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা ব্যস্ত রয়েছেন।

এখানে উল্লেখ্য যে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পূর্বে নারায়ণগঞ্জের সকল হাটগুলো আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা নিয়ন্ত্রণ করতেন। একইভাবে তারাও সিন্ডিকেট তৈরি করে হাটগুলোর নিয়্ন্ত্রণ নিতেন। আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতারা হাটের আয়ের বড় অংশ নিয়ে নিতেন। হাটের আয়ের অংশ মাঠ পর্যায়ের কর্মী থেকে শুরু করে সিন্ডিকেটের শীর্ষ নেতাদের পকেটে যেতো। একইভাবে এবারের হাটের আয়ের অংশ যাবে বিএনপির শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের পকেটেও। তবে কোনো কোনো এলাকায় বিএনপির একাধিক সিন্ডিকেট রয়েছে, যে সিন্ডিকেট হাটের ইজারা পাননি তাদের ভাগ্যে আয়ের কোনো অংশ নাও জুটতে পারে।

Islam's Group