নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী চূড়ান্ত

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আলাপ আলোচনা চলমান থাকলেও দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে দিনক্ষণ নির্ধারিত না হলেও নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। সেই সাথে নিজেদেরকে বিভিন্নভাবে জানান দিয়ে আসছেন।

তারই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জের ৫ টি আসনে খেলাফত মজলিসের মনোনীত প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার ২৭মে তাদের নাম চূড়ান্ত করে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে এবং পরবর্তীতে তাদের খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করবেন।

খেলাফত মজলিসের চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ- ৫ (সদর-বন্দর) খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব এবিএম সিরাজুল মামুন, নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আহমদ, নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) জেলা খেলাফত মজলিসের সহ সভাপতি ও সোনারগাঁও থানা সভাপতি মুফতী সিরাজুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা আহমদ আলী, নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ও রূপগঞ্জ থানা সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক।

একই সাথে গত ২৬ মে রাতে মহানগর খেলাফত মজলিসের কার্যালয়ে এক দায়িত্বশীল সভায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য মহানগর সভাপতি হাফেজ কবির হোসেনকে আহবায়ক ও জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মিজানুর রহমানকে সদস্য সচিব করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর খেলাফত মজলিসের সহ সাধারণ সম্পাদক মুফতী শেখ শাব্বীর আহমাদ বলেন, নারায়ণগঞ্জের ৫ টি আসনে আমরা খেলাফত মজলিসের ৫ জনের নাম চূড়ান্ত করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তাদের খেলাফত মজলিসের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হবে। সেই সাথে আমরা তাদের সামনে রেখে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাবো।

তিনি আরও বলেন, আশা করি নারায়ণগঞ্জের ৫ টি আসনেই আমাদের ভালো জনসমর্থন আসবে। তাছাড়া ইসলামী দলগুলোর ঐক্য হলে সেক্ষেত্রে আমরা আলোচনা সাপেক্ষে ছাড় দিবো এবং চূড়ান্ত প্রার্থী যে দলেরই হোক তাঁর পক্ষেই ময়দানে কাজ চালিয়ে যাব।

জানা যায়, বিগত প্রায় ১৬ বছর ধরেই ক্ষমতায় ছিলো আওয়ামী লীগ। আর এই ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সারাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও খেলাফত মজলিসের নেতাকর্মীরা বিভিন্নিভাবে অত্যাচার নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। ইচ্ছা করলেই সভা সমাবেশ করতে পারতেন না।

এরই মধ্যে গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। আর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে নারায়ণগঞ্জ খেলাফত মজলিসের নেতাকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবার সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।