News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২

এবার দুই সভাপাতির পাল্টাপাল্টি বক্তব্য


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৫, ১০:৪৩ পিএম এবার দুই সভাপাতির পাল্টাপাল্টি বক্তব্য

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পদ নিয়ে এবার পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছে দিদার খন্দকার ও হাজী মনির। এদের মধ্যে হাজী মনির মহানগর বিএনপির মনোনীত ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এবং দিদার খন্দকার মহানগর বিএনপি থেকে পদত্যাগ করা বিদ্রোহী বলয়ের নেতাদের মনোনীত সভাপতি। তবে এনিয়ে সম্প্রতি বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিতে দেখা যায় তাদের।

মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি থেকে পদত্যাগ করা বিদ্রোহী কমিটির নেতাদের অনুমোদিত ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দিদার খন্দকার বলেন, আমি ২০২২ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে ১৪ নং ওয়ার্ডের সভাপতি হই। এই কমিটি হওয়ার আগে সদর থানা বিএনপির যখন কমিটি হয়। তখন সেই কমিটিতে আমাকে একটি ভালো অবস্থানে রাখার কথা জানান কমিটির বর্তমান সভাপতি মাসুদ রানা চাচা। কিন্তু যখন সদর থানার আহবায়ক কমিটি হয় সেখানে আমাকে সদস্য রাখা হয়। সেই কষ্ট থেকে আমি পদত্যাগ করি। পরবর্তীতে মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি থেকে ১৭ জন পদত্যাগ করে। তখন সেন্টু ভাই, মুকুল ভাই, আওলাদ ভাই, মিঠু ভাই, অ্যাডভোকেট শিপলু ভাইয়ের সাথে মিলে দলীয় কাজকর্ম শুরু করি। ওই সময় তারা সম্মেলনের মাধ্যমে আমাকে সভাপতি করেন। আমি তখন থেকে ১৪ নং ওয়ার্ডের সভাপতির পদ ব্যবহার করি। এই কারণে মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত ভাই এবং সদস্য সচিব টিপু ভাই কোনদিন এর প্রতিবাদ করেনি। বলেনি আমি কেন সভাপতির পদ ব্যবহার করি। কিন্তু অদৃশ্য কারণে টিপু ভাই বিবৃতি দিয়েছেন যে আমি বৈধ সভাপতি না। আমি সাখাওয়াত ভাই এবং টিপু ভাইয়ের কাছে প্রশ্ন রাখলাম, যে কেন তিন বছর পর টিপু ভাই আমাকে অবৈধ সভাপতি বললেন।

দিদার খন্দকার আরো বলেন, আমাদের আরেকজন সভাপতি মনির ভাই, ওনিও আমার বড় ভাই। ওনি দলীয় ভাবে কতটুকু কাজ করে সেটা আমি ওয়ার্ডবাসীর উপর ছেড়ে দিলাম। আমি কতটুকু কাজ করি সেটাও আমি তাদের উপর ছেড়ে দিলাম। মনির ভাই ওই সময় দলীয় সরকারের (আওয়ামী লীগ) সাথে মিলে বিভিন্ন কার্যক্রম করেছে। ওনি আওয়ামীলীগের দোসরদের সাথে ছিলেন। ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছেন। সবশেষ হোসিয়ারী সমিতির নির্বাচনে আমি টিপু ভাইয়ের প্যানেলে ছিলাম, আর মনির ভাই অন্য প্যানেলে ছিলেন।

এদিকে একই বিষয়ে মহানগর বিএনপি অনুমোদিত ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী মনির বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি থেকে ২০২২ সালে ১৭ জন বের হয়ে যায়। তখন তারা বিদ্রোহী কমিটি হয়ে ১৪ নং ওয়ার্ডে দিদার খন্দকারকে সভাপতি দেয়। তাই দিদার খন্দকার নিজেরে সভাপতি দাবি করে। তিনি কোন বলে নিজেরে সভাপতি দাবি করে তা আমি জানিনা। তারেক জিয়া সাখাওয়াত এবং টিপু ওনাদের মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ পদ দিসে। ওনারা যেহেতু আমাকে সভাপতি করেছে তাই আমার কমিটি বৈধ। আমাদের বাহিরে যদি কোনো কমিটি থেকে থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই অবৈধ। যেই কমিটির কোনো ভিত্তি নাই। এখন নিজেরে নিজে কেউ সভাপতি দাবি করলে কিছু করার নাই। আর আমি কখনো আমাদের দলের বাহিরে গিয়ে কিছু করিনি।

Islam's Group