নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, এই সোনারগাঁয়ের প্রতি আমার একটা বাড়তি দায়িত্ব রয়েছে কারণ যখন সিদ্ধিরগঞ্জ-সোনারগাঁ একই নির্বাচনী আসন গঠিত হয়েছিলো তখন নেতাকর্মীরা আমাকে নিয়ে সোনারগাঁয়ের প্রতিটি ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডে জনসংযোগ করেছেন। সেই থেকে সোনারগাঁয়ের সাথে আমার একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেছে। তাছাড়া আমরা তো এই নারায়ণগঞ্জেরই এই সন্তান, আমরা তো বরিশাল, নোয়াখালী, কুমিল্লা, মুন্সিগঞ্জ থেকে আসিনি। এই নারায়ণগঞ্জ জেলা পাঁচটি সংসদীয় আসনে বিভক্ত। আমাদের এই পাঁচটি আসনে রাজনীতি করতে হবে। এই পাঁচটি আসনে দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে তার পক্ষে কাজ করতে হবে। এ নিয়ে যারা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায় তাদের মন অনেক ছোট। এত ছোট মন নিয়ে বড় কিছু পাওয়া যায় না।
রোববার (২২ জুন) বিকেলে সোনারগাঁয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন সোনারগাঁ থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আশরাফুল ইসলাম আশরাফ প্রধানের আয়োজনে এবং পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সার্বিক সহযোগিতায় এই আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, “সোনারগাঁবাসীর দাবি করছেন যেনো আমি সোনারগাঁ থেকে নির্বাচন করি। আমি বেছে নেই নি। আমিতো নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি। আমি সেখানে কাজ করছি। সোনারগাঁয়ের সহকর্মীরা আমার প্রতি আস্থাশীল। আমি তো এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারি না। নির্বাচন হলে আমি কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা পাবো তা জনগণ ভালো বলতে পারবে। তবে আমার সঙ্গে যাদেরই দেখা হচ্ছে তারা সবাই খুবই ইতিবাচক।”
তিনি বলেন, এখানে এসে একটা কথা শুনলাম, সদস্য পদ নবায়ন এবং নতুন সদস্য হওয়ার বিষয়ে বাধা প্রদান করা হচ্ছে এবং হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। এটা আসলে ঠিক না। বিএনপির দেশের বৃহত্তম রাজনীতির দল। এই দলে নতুন সদস্য আসবে, বিএনপির আদর্শে বিশ্বাসী মানুষদের বিএনপিতে আনাটা আপনার আমার দায়িত্ব। এখানে কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না। তাছাড়া যারা নবায়ন করবেন তারা তো সবাই বিগত আন্দোলন সংগ্রামের পরীক্ষিত মুখ। আমি সব মুখগুলোকে চিনি, সবাই আমার সাথে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। তাহলে আপনারা কেনো বিএনপির সদস্য পদ নবায়ন করতে পারবেন না। আপনারা সবাই অবশ্যই সদস্যপদ নবায়ন করবেন, কেউ আটকে রাখতে পারবে না। আপনাদের সদস্য করা আমার নৈতিক দায়িত্ব। আমি জেলা বিএনপিতে আছি আবার কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতেও আছি, আমি সব ব্যবস্থা করবো ইনশাআল্লাহ। আমাদের মনে রাখতে হবে বিএনপি দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল। এখানে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকবেই। এটাই দলের সৌন্দর্য। সেই সাথে সংসদ নির্বাচনে একটি আসন থেকে একাধিক জন মনোনয়ন চাইতেই পারে বরং কোনো আসন থেকে একজন মনোনয়ন চাওয়াটা বিএনপির সাথে মানায় না। আমরা চাইতে পারি কিন্তু দেওয়ার মালিক আল্লাহ। আমাদেরকে আল্লাহর উপরই নির্ভর করতে হবে। তাহলে কেনো আমরা একে অপরকে দুশমন ভাববো। কেন একজন আরেকজনকে কটাক্ষ করে কথা বলবো। আমাদের কথা বলায় শালীনতা থাকতে হবে, মার্জিত ভাব থাকতে হবে, বিনয় থাকতে হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুকুল, সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সহিদুর রহমান স্বপন, সোনারগাঁও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নাসিরউদ্দিন, সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আমির হোসেন, সনমান্দী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি রমজান সরকার, সোনারগাঁ থানা কৃষক দলের সাবেক সদস্য সচিব বাবুল হোসেন, সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম মোল্লা, সাদীপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সাবেক সভাপতি শাহ আলমসহ নেতৃবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন :