বন্দর উপজেলার আওতাধীন ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার কমিটির আওতাধীন ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির নামে অনুষ্ঠিত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত ওই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন না উপজেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। সেই সাথে উক্ত ইউনিয়ন কমিটির সভাপতিও ছিলেন অনুপস্থিত। অনুষ্ঠানে ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহিসন মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহŸায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও প্রধান বক্তা ছিলেন অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটন এবং অনুষ্ঠিত ভেন্যু ইউনিয়নের সভাপতি জাহিদ খন্দকারের অনুপস্থিতিতে মহানগরের শীর্ষ দুই নেতার সেখানে উপস্থিত হওয়া নিয়ে উক্ত সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
বন্দর উপজেলা বিএনপির তৃণমূলে বেশ কয়েকজন কর্মী জানান, উপজেলা এলাকায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম ব্যানারে রাখা হয়নি। সেই সাথে যে ইউনিয়নের উদ্যোগে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছে ওই ইউনিয়নের সভাপতিকে বাদ দিয়ে সাধারণ সম্পাদককে সভাপতিত্ব দেওয়া হয়েছে। এমন চরম প্রৌটকল ভঙ্গ করা হয়েছে উক্ত অনুষ্ঠানটিতে। ওই অনুষ্ঠানে রীতিমত উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক শৃষ্ঠাচার বর্হিভূত আচরণ করা হয়েছে। যেখানে উপজেলা শীর্ষ দুই নেতা অনুপস্থিত ছিলেন সেখানে মহানগরের শীর্ষ দুই নেতার উপস্থিত হওয়া ভবিষ্যতের জন্য ভাল উদাহরণ নয়।
আলোচনা সভায় উপস্থিত বেশ কয়েকজনের সূত্রে জানা যায়, ব্যানারে উপজেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ছিল না। এ নিয়ে হয়তো উনারা আসতে অসম্মতি জানায়। যা নিয়ে বির্তক সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ব্যানার বাদ দিয়েই অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে যোগাযোগের একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তাদেরকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :