News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২

নির্বাচন কিংবা সমর্থনে ফ্যাক্টর হবে এনসিপি


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৫, ০৯:৪০ পিএম নির্বাচন কিংবা সমর্থনে ফ্যাক্টর হবে এনসিপি

নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনে বিএনপির প্রার্থী রয়েছে অন্তত দেড় ডজন। অন্যদিকে জামায়াত তাদের পাঁচটি আসনের প্রার্থী নির্ধারণ করে ফেলেছে। অন্যান্য ইসলামী দলগুলো তাদের প্রার্থীদের ধীরে ধীরে প্রস্তুত করছে। তবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত হওয়া রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি নারায়ণগঞ্জের একটি আসনে তাদের প্রার্থী চ‚ড়ান্ত করেছে। বাকি চারটি আসনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত এখনও আসেনি। ফলে বাকি চারটি আসনে এনসিপির নেতাকর্মী ও ভোটাররা ভিন্ন কোন প্রার্থী বা দলকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচনী পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। 

নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ন আসন হিসেবে বিবেচনা করা হয় নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনকে। সবচেয়ে বেশি ভোটার থাকায় এই আসনে চোখ থাকে সকলের। বলা হয়, ৪ আসনে যেই দলের প্রার্থী জয়লাভ করে, তারাই রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পায়। এই ৪ আসনেই প্রার্থী প্রায় চ‚ড়ান্ত করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এই আসনে ইতোমধ্যে গণসংযোগ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল আমিন। 

এর বাইরে নারায়ণগঞ্জ ৩ এবং নারায়ণগঞ্জ ৫ আসন এলাকায় দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনায় এনসিপির গুরুত্বপুর্ন দায়িত্ব পেয়েছেন দুই নেতা। তারা হলেন সোনারগাঁ এলাকার তুহিন মাহমুদ ও সদর বন্দর এলাকার আহমেদুর রহমান তনু। ধারনা করা হচ্ছে তুহিন ও তনু এই দুই আসনে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। তবে এই বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। অন্যদিকে আড়াইহাজার এবং রূপগঞ্জে এনসিপির কার্যক্রম চলমান থাকলেও সেখানে নির্বাচন করার মত শক্তিশালী প্রার্থী বা গুরুত্বপূর্ন নেতা এখনও তৈরি হয়নি। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনে বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ও জামায়াতের প্রার্থীরা যোগাযোগ রাখছেন এনসিপির নেতাকর্মীদের সাথে। তাদের ধারনা, কোন কারনে এসব আসনে এনসিপি নির্বাচন না করলে বা নির্বাচনে শক্ত প্রার্থী দিতে না পারলে বিকল্প হিসেবে তাদের যেন সমর্থন দেয়। এসব অঞ্চলে এনসিপির নেতাকর্মীরা প্রার্থীদের সমর্থন দিলে জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া ছাত্র জনতার বড় একটি সমর্থন চলে আসবে সেই প্রার্থীর পক্ষে। যা নির্বাচনের মাঠে ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে। 

সূত্র বলছে, জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের কঠোর বিরোধী হিসেবে নিজেদের প্রমান করতে সক্ষম হয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে সরব থাকা বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মিদের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করেছে দলটির নেতাকর্মীরা। তবে দলীয় ভাবে শীর্ষ নেতৃবৃন্দরা একে অপরের গঠনমূলক সমালোচনা করলেও ভেতরে তৃণমূল পর্যায়ে রয়েছে নীরব ঐক্য। পাশাপাশি আগস্ট পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসা নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা জারি রেখেছে এনসিপি। এই সমালোচনা সাধারণ মানুষের কাছে যেমন গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে, তেমনি সেসব রাজনৈতিক দলের প্রতি মানুষের আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী নির্বাচনে যেসব আসনে এনসিপি প্রার্থী দিবেনা সেখানে তুলনামূলক স্বচ্ছ ও ক্লিন ইমেজের প্রার্থীকে সমর্থন দিতে পারে এনসিপির নেতাকর্মীরা। এর মাধ্যমে যেমন বিতর্কিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে সামাজিক অবস্থান তৈরি হবে। তেমনি ভোট ব্যাংকে ফেলতে পারে প্রভাব। বিশেষ করে বিএনপি মনোভাবাপন্ন স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা ভিন্ন কোন রাজনৈতিক দল সমর্থন আদায় করে নির্বাচনে বাজিমাত তৈরি করতে পারে। তাই এখনই এনসিপির নেতাকর্মীদের হাতে রাখছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

Islam's Group