দেশে এইচএসসি সমমনা পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কলেজ জীবনের ইতি টানার অন্যতম এই আনন্দের মূহূর্তে স্বাভাবিক দিনের চেয়ে মিষ্টির দোকানগুলোতে বেচা-বিক্রি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তবে,এবছর তেমন কোনো দৃশ্য দেখা যায়নি,অর্থাৎ মিষ্টির দোকানে ক্রেতা নাই বললেই চলে। অথচ ফলাফলের অপেক্ষায় বিক্রেতারা চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত মিষ্টি মজুত করে হতাশ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জে চিটাগাংরোড ও সিদ্ধিরগঞ্জ পুল বাজারের মিষ্টির দোকান ঘুরে এমনটাই দেখা গিয়েছে।
বিগত বছরগুলোতে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশের অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে শিক্ষার্থীদের স্বজনরা মিষ্টির দোকানে উপচে পড়া ভিড় জমাতো। ফলে ক্রেতাদের চাহিদা মেটানোতে হিমশিম খাওয়া লাগতো দোকানিদের। তবে,এবছর তেমন দৃশ্য চোখে পড়েনি। দোকানগুলোতে স্বাভাবিক দিনের মতোই বেচা-বিক্রি হতে দেখা গিয়ে। এতে হতাশ হয়েছেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা।
আলীবাবা সুইটস নামের মিষ্টি দোকানের মালিক নারায়ণ জানান, সারাদিনে ক্রেতার উপস্থিতি একেবারেই কম। এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলকে টার্গেট করে তিনি স্বাভাবিক দিনের চেয়ে অন্তত ৪০ কেজি মিষ্টি বেশি এনেছেন। অথচ আশানুরূপ ক্রেতা মেলেনি। এককথায় এবার হতাশ হয়েছেন। তার দোকানে ২৮০ থেকে ৬৫০ টাকা মূল্যের মিষ্টি রয়েছে।
প্রাণ বল্লব নামক মিষ্টি দোকানের সিদ্ধিরগঞ্জে বেশ সুনাম রয়েছে। এসএসসি কিংবা এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে এ দোকানে বেশ বিক্রি হয়ে থাকে। তবে এবার তা হয়নি বলে জানিয়েছেন চিটাগাংরোড শাখার ম্যানেজার মন্টু ঘোষ। তিনি বলেন, আজ কাস্টমার একেবারেই কম। বলাচলে স্বাভাবিক দিনের চেয়েও কম। আমরা এইচএসসির ফলাফলকে কেন্দ্র করে বাড়তি মিষ্টি রেখেছিলাম কিন্তু ক্রেতা নেই। যদিও সব বছরই এইচএসসি থেকে এসএসসিতে বেচা-বিক্রি বেশি হয়। এবার আশানুরূপ পাইনি আরকি। আমাদের দোকানে সর্বনিন্ম মূল্য ৩০০ টাকা।
এদিকে একই অবস্থার দেখা মেলে সোনারগাঁ মিষ্টান্ন ভান্ডারসহ অন্যান্য দোকানেও।
আপনার মতামত লিখুন :