র্যাব-১১ সদর কোম্পানী, আদমজীনগর নারায়ণগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল ১১ অক্টোবর সন্ধ্যায় জেলার বন্দর থানাধীন মদনপুর এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে বর্ণিত সময় ও স্থান হতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও দুর্ধর্ষ ডাকাত সজীব ব্লেড সজীবকে (২২), গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় গ্রেফতারকৃত আসামির কাছ থেকে আলামত হিসেবে ১ টি ছুরি, ১ টি সুইচ গিয়ার, ১ টি লেজার লাইট এবং ১ টি ইলেকট্রিক শকার উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও দুর্ধর্ষ ডাকাত সজীব ব্লেড সজীব (২২) যার বিরুদ্ধে ডাকাতি, গণধর্ষণ, অস্ত্র মামলারসহ ১০ টি মামলা রয়েছে। শীর্ষ সন্ত্রাসী ও দুর্ধর্ষ ডাকাত সজীব ব্লেড সজীব সোনারগাঁও থানার দুধঘাটা এলাকার মোঃ শহিদুল্লাহ'র ছেলে। সোনারগাঁও থানা পুলিশ কর্তৃক তাকে গ্রেফতারের জন্য র্যাব-১১ বরাবর অধিযাচনপত্র প্রেরণ করেন। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১১ এর নিজস্ব গোয়েন্দা নজরদারী ও সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সোনারগাঁওয়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও দুর্ধর্ষ ডাকাত সজীব ব্লেড সজীব এর অবস্থান শনাক্ত পূর্বক তাকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য যে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ছিনতাইয়ের পর এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী নারীর সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা এজাহার থেকে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি এলাকার ভুক্তভোগী নারী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাবুর্চির সহকারী হিসেবে কাজ করেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ভিকটিমের দেবরকে নিয়ে মদনপুর এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বোনকে দেখতে যান। পরে তার দেবর ও ওই নারী রাতে সিএনজিযোগে কৃষ্ণপুরা এলাকায় তার খালাতো ভাইয়ের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন।
পথিমধ্যে রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিলারবাগ এলাকায় সজীব ব্লেড সজীব নেতৃত্বে অন্যান্য ৬-৭ জন সহযোগী মিলে তাদের বহনকারী সিএনজি গতিরোধ করে। একপর্যায়ে তাদের দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে দৈলেরবাগ এলাকার একটি পরিত্যক্ত টিনশেড বাড়িতে নিয়ে যায়। তাদের মারধর করে নগদ টাকা এবং স্বর্ণের কানের দুল ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ছিনতাইয়ের পর সজীব ও তার সহযোগীরা মিলে ভিকটিমের দেবরকে অন্য একটি কক্ষে আটকে রেখে ভুক্তভোগী ওই নারীকে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পর থেকে সজীব ব্লেড সজীব পলাতক ছিল।
আপনার মতামত লিখুন :