ফতুল্লায় ধারাবাহিক ভাবে চার স্কুল ছাত্রী কে ধর্ষণের অভিযোগে পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক মিজানুর রহমান ওরফে মিজান (৪৫) কে ঢাকার মোহাম্মদপুর গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় গ্রেফতারকৃতের হেফাজত থেকে ভুক্তভোগী তিন স্কুল ছাত্রী কে উদ্ধার করে।
গ্রেফতারকৃত মিজানুর রহমান মিজান বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়ার মৃত আবু তালেব শিকদারের পুত্র।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত শিক্ষক মিজানুর রহমান ওরফে বিকৃত রুচী সম্পন্ন। সে ঢাকার মোহাম্মদপুরে বসবাস করলেও ফতুল্লার পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলো। সে স্কুল বন্ধকালীন সময়ে প্রতি শুক্রবার স্কুলে আর্ট ও কম্পিউটারে ক্লাস করাতো। সে মিষ্ট ভাষায় নানা প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে চলতি মাসের ৬ তারিখে শুক্রবার পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর দুই ছাত্রী পরস্পর বান্ধবীদের কে কৌশলে গ্রেফতাকৃত শিক্ষক মিজানুর রহমান ওরফে মিজান ঢাকার মোহাম্মদপুরস্থ সাদেক খান রোডের বাসায় নিয়া যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক দুই বান্ধবী কে গ্রেফতারের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত একাধিক বার ধর্ষণ করে। একই কায়দায় ১১ তারিখ শুক্রবার স্কুল থেকে কৌশলে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া আরো এক ছাত্রীকে মিজানুর রহমান ওরফে ঢাকা মোহাম্মদপুরস্থ ঐ একই বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে সে তাকে ও জোড় পূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। সর্বশেষ ২৩ তারিখে একই ভাবে দশম শ্রেণীর অপর এক ছাত্রীকে মোহাম্মদপুরে নিয়ে গিয়ে তাকেও ধর্ষণ করে। সর্বশেষ ঢাকার মোহাম্মদপুরে নিয়ে যাওয়া ভুক্তভোগী ঐ ছাত্রী শিক্ষক মিজানুর রহমান ওরফে মিজানের বন্দীশালা থেকে কৌশলে পালিয়ে ২৪ জুন পাগলায় এসে পরিবার সহ আটক থাকা তার তিন বান্ধবীর পরিবারের সদস্যের বিস্তারিত জানায়। পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে পালিয়ে আসা ঐ স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগী তিন স্কুল ছাত্রী, বান্ধবী কে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় ফতুল্লা থানায় মামলা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত মিজানুর রহমান ওরফে মিজানের বিরুদ্ধে ঢাকার আরো একটি থানায় পর্ণগ্রাফি ও ধর্ষণ মামলা রয়েছে বলে তিনি জানান।
আপনার মতামত লিখুন :