কর্মব্যস্ত নারায়ণগঞ্জ শহরের লাখ লাখ মানুষের ঘুরে বেড়ানো ও বিনোদনের জন্য সবচেয়ে পছন্দের জায়গা এখন জিমখানা লেক, দেওভোগের সিটি পার্ক এবং বাবুরাইল লেকের দুই পাশের দৃষ্টিনন্দন ওয়াক-ওয়ে। ছুটিরদিন ছাড়াও এই তিন স্থানে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের আগমন ঘটে। তবে বখাটেদের উপস্থিতি, আবর্জনায় সয়লাবসহ নানা কারণে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে স্থানগুলো।
দর্শনার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে দেওভোগের সিটি পার্ক ও জিমখানা লেকে ঘুরতে আসা সকলের কাছে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বখাটে কিশোর গ্যাং সদস্য ও ছিনতাইকারী। এদের হাতে প্রতিনিয়ত হেনস্তা, বøাকমেইলিং এমনকি হামলার শিকারও হচ্ছেন অনেকে। তবে পার্ক ও লেকের নিরাপত্তার জন্য কোনো আলাদা ব্যবস্থা না থাকায় দিনদিন এই প্রবণতা বেড়েই চলছে।
জানা যায়, জিমখানা লেক অবস্থিত নগরীর ১৫ নং ওয়ার্ডে এবং বাবুরাইল লেক ও সিটি পার্ক ১৬ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত। তাই স্থানীয়রা পার্ক ও লেকের অব্যবস্থাপনার জন্য এখানকার সাবেক দুই পুরুষ কাউন্সিলর ও এক নারী সংরক্ষিত কাউন্সিলরের পাশাপাশি সিটি করপোরেশন ও প্রশাসনকে দায়ী করেছেন।
জিমখানা জল্লারপাড় লেকের সমস্যার কথা জানিয়ে পাইকপাড়া এলাকার বাসিন্দা অপু বলেন, জিমখানা কলোনীর কিছু বখাটে ছেলে পার্কে আসা ছেলে মেয়েদের ব্ল্যাকমেইল করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়। না দিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। ওদের কলোনীর মধ্যে টর্চাসেল আছে সেখানে নিয়ে যায়। কিন্তু এটা তো হতে পারেনা। এখানে মানুষ এসে যদি নিরাপদে একটু সময় না কাটাতে পারে তাহলে কি লাভ? প্রশাসন এটা ঠিক করতে না পারলে পার্ক বন্ধ করে দেওয়াই ঠিক হবে। মানুষের জীবন নিরাপদ থাকবে।
আওলাদ হোসেন নামে দেওভোগ পাক্কারোড এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, এই পার্ক আর লেক বানিয়েছে সিটি করপোরেশন। তাই পার্কের নিরাপত্তা ও লেকের সৌন্দর্য রক্ষার দায়িত্ব সবার আগে তাদের। পরে এখানে তিনজন সাবেক জনপ্রতিনিধি আছে। যেমন ১৫ তে অসিত বরণ, ১৬ তে রিয়াদ ও বিভা। এই তিনজনেরও দায়িত্ব যাতে এখানে কোনো সমস্যা না হয় সেটা দেখা। কিন্তু তাদেরও এখানে দুর্বলতা আছে। তারা সজাগ হইলে সব ঠিক থাকবে। আমরা যতটুকু জানি কাউন্সিলরদের পদ না থাকলেও সিটি করপোরেশন বর্তমানে পূর্বের জনপ্রতিনিধিদের লোকজন দিয়েই ওয়ার্ডের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তা জানান, পার্কের নিরাপত্তা দিতে গেলে আলাদা করে গার্ড বা নৈশ প্রহরী রাখতে হবে। তবে এই মুহূর্তে আর্থিক সংকটের কারণে সেটা করা যাচ্ছেনা। তবে প্রশাসন সক্রিয় থাকলে এসবের প্রয়োজন হবেনা বলেও জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :