ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক বেসরকারি শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান গ্রেপ্তার এড়াতে দাড়ি কেটে লেবাস পরিবর্তন করে ছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে তিনি জেল হাজতে রয়েছে। আওয়ামী লীগের এই নেতার মতই বন্দরে জোড়া খুনের ঘটনায় আসামি হওয়ার বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ও সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকার লেবাস বদল করেও শেষ রক্ষা করতে পারলেন না।
২৫ জুন (বৃহস্পতিবার) ভোর রাত ৪টায় গাজীপুর জেলার টঙ্গী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে দুই ছেলে সহ গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
নিজের লেবাস পরিবর্তন করতে হান্নান সরকার দাড়ি কলপ করে কালো করেছেন। সেই সাথে দাড়ি ছেটে দাড়ির স্টাইলও পরিবর্তন করেছেন। ফলে হান্নান সরকারকে দেখতে অনেকটাই অচেনা লাগছে। প্রথম দেখাতে যে কেউ হান্নান সরকারকে দেখে বুঝতেই পারবেন এটা হান্নান সরকার। এমন কি দীর্ঘ সময় দেখেও তাকে শনাক্ত করাটাও কঠিন।
বন্দরে আধিপত্য ও স্ট্যান্ড দখল করাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষে কুদ্দুছ হত্যা মামলায় সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকারসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দর থানার হাফেজিবাগ এলাকার মৃত আশ্রাফ আলী মিয়ার ছেলে মামলার ২নং এজাহারভূক্ত আসামি হান্নান সরকার (৫৮) তার দুই ছেলে মামলার ১০নং এজাহারভুক্ত আসামি জুনায়েদ (২৬) ও ফারদিন (২২) একই এলাকার মৃত মজিদ সিকদারের ছেলে বাবু ওরফে জুয়ারী বাবু (৪০)।
গ্রেপ্তারকৃতদের বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে ২৫ জুন ( বৃহস্পতিবার) ভোর রাত ৪টায় গাজীপুর জেলার টঙ্গী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর রেল-লাইন হাফেজীবাগ ও সালেহনগর এলাকায় আধিপত্য ও বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকার, বাবু শিকদার ও সাবেক কাউন্সিলর আবু কাউছার আশা গ্রুপের জাফর-রনিদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ শত্রুতা চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় একই এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে বাবু ওরফে জুয়ারী বাবু (৪০) একই এলাকার মৃত আশ্রাফ আলী সরকারের ছেলে হান্নান সরকারসহ কতিপয় দুর্বৃত্ত চাকু দিয়ে আঘাত করে হত্যাকাÐ ঘটায়। এই হত্যাকান্ডে ভিকটিম আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী রোকসানা বেগম বাদী হয়ে এজাহারনামীয় ১৩ জন আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জনের নামে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করে।
আপনার মতামত লিখুন :