নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুইজনের মৃত্যুর ঘটনায় দুটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। আর দুই মামলায় আসামি করা হয়েছে নাসিকের সাবেক দুই কাউন্সিলরসহ ১১২ জনকে। এ পর্যন্ত ৮জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজমিস্ত্রী আব্দুল কুদ্দুস ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মেহেদী হাসানের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে আব্দুল কুদ্দুসের মৃত্যুর ঘটনায় তার মেয়ে রোখসানা আক্তার রোববার রাতে বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আর মেহেদী হাসান মৃত্যুর ঘটনায় আজ দুপুরে তার ভাই খালেদ সাইফুল্লাহ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
রাজমিস্ত্রী আব্দুল কুদ্দুসের মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে ১৩জনকে আর অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৪০জনকে। ওই মামলায় ২২নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকারকে আসামী করা হয়।
স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মেহেদী হাসানের মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে ২৯ জনকে এবং অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৪০জনকে। এ মামলায় ২১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শাহীন মিয়াকে আসামী করা হয়।
দু’টি মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বন্দর রেললাইন, হাফেজীবাগ ও সালেহনগর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকার, বাবু শিকদার গ্রুপ ও সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা গ্রুপের জাফর-রনিদের দীর্ঘদিন যাবৎ দ্বন্দ্ব রয়েছে। এ দ্বন্দ্বের জেরে গত শুক্রবার বন্দর রেললাইন এলাকায় রাস্তার উপর উভয়পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পরদিন থানায় একটি মামলাও হয়। এই ঘটনার জেরে শনিবার রাতে মেহেদী ও কুদ্দুস খুন হন বলে উভয় মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
দু’টি মামলাতেই সাবেক দুই কাউন্সিলরকে হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা হিসেবে দেখানো হয়েছে। মামলা দু’টিতে সাবেক আরেক কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশার গ্রুপের সঙ্গে দ্বদ্বে হত্যাকাণ্ড দু’টি সংঘটিত হয়েছে বলে উল্লেখ থাকলে একটিরও আসামির তালিকায় আশার নাম নেই। তবে তার গ্রুপের রনি ও জাফরকে মেহেদী হত্যা মামলায় আসামি হয়েছেন। অন্যদিকে বাবু শিকদার, শ্যামল ও বাবু ওরফে জুয়াড়ি বাবু বৃদ্ধ কুদ্দুস হত্যা মামলার আসামির তালিকায়।
আপনার মতামত লিখুন :