আড়াই বছর কারাভোগ করে অবশেষে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান। তার মুক্তির খবরে উত্তেজনা বিরাজ করছে ভক্তদের মাঝে। সবাই অপেক্ষায় আছেন কবে ছাড়া পাবেন তিনি। তার মুক্ত হওয়ার দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে অনেকে ফিরে যাচ্ছেন পুরনো কথায়। অর্থাৎ দীর্ঘ বিশ বছর বিদেশে পালিয়ে থাকা এই নেতা কিভাবে দেশে আসার পর হঠাৎ র্যাবের জালে ধরা পড়লেন।
জানা গেছে, আলোচিত এই বিএনপি নেতা আটকের পর পুরো জেলায় এ নিয়ে আলোচনা হয় এবং সেই উত্তাপ ছড়িয়ে যায় স্থানীয় রাজনীতির মাঠেও। জাকির খানের আটক হওয়ার নিয়ে তখন পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিতে দেখা গেছে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতাদেরও। বিশেষ করে আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি শামীম ওসমান এবং মহানগর বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন এবং আবু আল ইউসুফ খান টিপু এ নিয়ে রীতিমতো বাকযুদ্ধে নেমে যান।
২০২৪ সালের ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে শামীম ওসমান মহানগর বিএনপির আহবাক সাখাওয়াত হোসেন এবং আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে ইঙ্গিত করে বলেন, এই দুজনের মধ্যে যে-কোনো একজন র্যাব কিংবা পুলিশকে জাকির খানের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির একটি আন্দোলনে গোলাগুলি হয়েছিলো। পুলিশের ওপর হামলাও হয়েছিলো। তারা সেই হামলায় ছাত্রদলের একজন সাবেক নেতা যার বাড়ি দেওভোগ। আমি নামই বলছি জাকির খান। নিজেরা ঐ মামলা থেকে বাঁচার জন্য সে (জাকির খান) কোথায় থাকে তার ঠিকানা দিয়েছে পুলিশের কাছে হোক বা র্যাবের কাছে হোক।
এদিকে জাকির খানের গ্রেপ্তারের পেছনে নিজেদের সম্পৃক্ততা না থাকার কথা জানিয়ে সাখাওয়াত হোসেন খান তখন বলেছিলেন, আসলে শামীম ওসমান সব সময় উদ্ভট বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় থাকতে চায়। তিনি যে বক্তব্য দিয়েছে সেটি তার অজ্ঞতার নিদর্শন। জাকির খান আমাদের দলের লোক। আমরা কেন তাকে ধরায় দিতে যাবো। আমাদের সাথে কি র্যাবের সাথে সম্পর্ক আছে? ধরাইলে তারাই ধরাইসে। সে শাক দিয়া মাছ ঢাকতে চায়। তিনি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ম্যুরাল ভেঙে আগুনে হাত দিয়েছে। কারণ জিয়াউর রহমান একজন জাতীয় নেতা। তাছাড়া জিয়াহল খুব মূল্যবান জায়গা। তাই এটা এখান থেকে ভেঙে ফেলতে পারলে সমবায় মার্কেটের মতো এটাকেও সে কুখ্যিগত করবে।
তখন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব টিপু বলেন, সর্ব প্রথম কথা হলো এই মাহে রমজান মাসে যদি ওনি মিথ্যা কথা বলে আল্লাহ ওনার বিচার করবো। আর আমি মিথ্যা কথা বললে আল্লাহ আমার বিচার করবো। ওনি তো একটা মিথ্যাবাদী, ওনি নাটকবাজ, ওনি অভিনয়কারী। আমি জাকির খানকে কেন এরেস্ট করাইতে যাবো? জাকির খান সাব্বির হত্যা মামলার আসামী হিসেবে এরেস্ট হইসে। জাকির খানকে কে এরেস্ট করছে তা জাকির খানই ভালো জানে। আমি তাকে বড় ভাই হিসেবে বলবো যে, নারায়ণগঞ্জ শান্ত আছে শান্ত থাকতে দেন। আপনারা ১৭ বছর ধরে ক্ষমতায়। আপনারা জাকির খানকে এরেস্ট না করাইলে আমরা কিভাবে করাবো।
আপনার মতামত লিখুন :