নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগের হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতা আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার ২৭ জুন রাতে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল্লাহ সরকারের নেতৃত্বে এ হামলা করা হয় বলে অভিযোগ।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে আহত ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মো. ফারুক বাদী হয়ে ১১ জনকের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ছাড়াও অন্যান্য অভিযুক্তরা হলো মো. সাব্বির হোসেন, মো. নয়ন, সাইফুল ইসলাম, রাকিব হোসেন, আকতার হোসেন, মো. বাচ্চু মিয়া, আতাউর রহমান, ফিরোজ মিয়া, মো. বাবুল মিয়া ও মোক্তার হোসেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. ফারুক ও মো. সাগর লাধুরচর এলাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে প্রচারপত্র বিলি শেষে বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরছিলেন। ফেরার পথে চৌরাপাড়া কাঠ ব্রিজ এলাকায় আগে থেকে উৎপেতে থাকা নোয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল্লাহ সরকারে নেতৃত্বে অন্যান্য অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাতি, হকিস্টিক ও লোহার রড নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় ফারুক ও সাগর আহত হোন। পরে স্থানীয় জনতা আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহতদের মধ্যে সাগরের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত ফারুকের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে চৌরাপাড়া এলাকায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতাসহ তার সহযোগীরা। মূলত তাদের মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় এ হামলা চালানো হয়েছে।
অভিযুক্ত নোয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল্লাহ সরকারের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, হামলার ঘটনায় অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :