News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২
মুকুলের উপর হামলার ঘটনায়

ডন বজলুকে প্রধান আসামি করে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | বন্দর প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম ডন বজলুকে প্রধান আসামি করে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুলের উপর হামলা চালিয়ে বিবস্ত্র করার ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। হামলার সময় আতাউর রহমানের মুকুলের সাথে থাকা মোস্তাকুর রহমান বাদী হয়ে রোববার ২৯জুন রাতে ডন বজলুকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের নাম উল্লেখ ও ২০/২৫জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, মৃত আলী মিয়ার ছেলে রাসেল(৪৪) আলী আক্কাস মিয়ার ছেলে কামাল ওরফে কেরা কামাল (৪৪) ফজলুর রহমানের ছেলে গোলজার (৪৮) কাশেম মিয়ার ছেলে নাদিম (৩৮) মৃত আবুল বাশারের ছেলে আব্দুল করিম নোমান (৩৫) মৃত আক্তার হোসেনের ছেলে  আকাশ (২৫) মৃত সিরাজ উদ্দিন মিয়ার ২ ছেলে সেলিম (৪৫) ও শামীম (৪২) মৃত মগবুল হোসেনের ছেলে শাহাজালাল (৪০) মৃত ছালিম উদ্দিন মিয়ার ছেলে হযরত আলী (৫৬) রফিক মিয়ার ছেলে রাজ মিয়া (৫৫) সাদেক আলী ছেলে সাইদুর ওরফে সাইফুল (৪৪) মৃত লতিফ মিয়ার ছেলে হানিফ (৪২) ফজলুর রহমানের ছেলে আক্তার (৪৫) মিছির আলী ছেলে ইসমাঈল (৫৮) বশির উদ্দিন মিয়ার ছেলে খালেক (৫৮) ও একই এলাকার আলী আক্কাস (৩৬)সহ অজ্ঞাত নামা ২০/২৫ জন।

মামলার এজাহারের সূত্রে জানাযায়,  গত ২জুন মেসার্স দেওয়ান এন্টার প্রাইজ হাজীগঞ্জ ফতুল্লা ইউপি টেন্ডারের মাধ্যমে হরিপুর ৪১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের টি.আই কাজের কার্যাদেশ প্রাপ্ত হয়ে প্রায় ৩০ লাখ টাকা পিজি জমা প্রধান করে বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তুতি নেয়।  এর জের ধরে সোনারগাঁ থানার কুতুবপুর এলাকার বজলুর রহমান ওরফে ডন বজলু নেতৃত্বে উল্লেখিত সন্ত্রাসীসহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন মের্সাস দেওয়ান এন্টার প্রাইজের নিকট ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসতেছে। এর ধারাবাহিকতা গত রোববার ২৯জুন দুপুর অনুমানিক সাড়ে ১২টায় সাব ঠিকাদার ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল(৬৮), ও মামলার বাদীসহ সোবহান ও কাউছার বন্দর থানাধীন হরিপুর বিদুৎ কেন্দ্রে চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য গেলে উল্লেখিত সকল বিবাদীগংরা অতর্কিত ভাবে গাড়ির চারদিকে ঘেরাও করে গাড়ির গতিরোধ করে। একপর্যায়ে গাড়িতে থাকা অবস্থায় ১নং বিবাদীর হুকুমে উল্লেখিত সকল বিবাদীরসহ অজ্ঞাত বিবাদীরা  দেশীয় অস্ত্র সন্ত্র নিয়ে মোস্তাকুর রহমমান ও আতাউর রহমান মুকুল নিকট পুনরায় পূর্বের দাবিকৃত টাকা চাঁদা দাবি করে এবং বলে যে, বিবাদীদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে কোন চুক্তি স্বাক্ষর করতে দিবেনা। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ১৩নং বিবাদী সাইদুর ওরফে সাইফুল মোস্তাকুর রহমান ও  আতাউর রহমান মুকুলকে গাড়ি হতে টেনে হেচড়ে নামিয়ে হামলাকারীরা আতাউর রহমান মুকুলকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্বক জখম করে। মারতে মারতে এক সময় তার পড়নের পাঞ্জাবী ও পায়জামা ছিড়ে ফেলে তার সম্মানহানী করে। পরবর্তীতে পুলিশের সহায়তায় আশেপাশের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী গণমাধ্যমকে জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার এজাহারভূক্ত  আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Islam's Group