News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

তীব্র গরমে বাড়ছে ডায়রিয়া প্রকোপ


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২৫, ১০:০৯ পিএম তীব্র গরমে বাড়ছে ডায়রিয়া প্রকোপ

গত কয়েকদিনের গরমে নারায়ণগঞ্জে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। তবে অন্যান্য সময়ের তুলনায় পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের গত কয়েকদিনের তথ্য পর্যালোচনা করে এমনটাই জানা যায়। চিকিৎসকদের ভাষ্য, এখনো পর্যন্ত ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা সীমাবদ্ধতার মধ্যেই রয়েছে। মূলত অপরিচ্ছন্ন ও বাসী খাবারের কারণেই অধিকাংশ মানুষ ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

১০০ শয্যা বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ৩ দিনে দুই শতাধিক রোগী ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। এর মধ্যে গত ২৫ জুন ১০২ জন, ২৬ জুন ৮০জন এবং গত ২৭ জুন ৭৭ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি নেন।  

শনিবার (২৮ জুন) সকালে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা অধিকাংশ রোগীই নারী ও শিশু। পুরুষ রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক কম রয়েছে। চিকিৎসক ও নার্সরা রোগীদের সব ধরনের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

দায়িত্বরত সেবিকারা জানান, ‘গরম বাড়ার কারণে প্রতিনিয়ত ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে আমরা আমাদের সাধ্যমতো রোগীদের সেবা প্রদান করছি। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৭০-৮০ জন ডায়রিয়া রোগী এখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তবে শিশুদের সুস্থ হতে কিছুটা সময় লাগছে। আশা করছি, গরমের তীব্রতা কমে গেলে রোগীর চাপ অনেকটাই কমে আসবে।’ 

শহরের মন্ডলপাড়া থেকে সেবা নিতে আসা আখি আক্তার নামের এক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী বলেন, ‘গতকাল থেকে আমার এমন অবস্থা হয়েছিল যে মনে হয় আমি আর বাঁচবো না। পরে এখানে ভর্তি হয়ে সেবা নেওয়ার পর এখন অনেকটাই সুস্থ আছি।’

নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘বছরের এই সময়টায় দিনের বেলা অনেক গরম থাকে আবার রাতের দিকে তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে। খাবার গরম করে না খাওয়া, বাসী খাবার খাওয়া, ফুটপাতের খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত পরিমানে পানি না পান করলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এসব বিষয়ে যদি সবাই সচেতন হয় তাহলে একজন ব্যক্তির ডায়রিয়া হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। বর্তমানে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর চাপ বাড়লেও হাসপাতালে যথেষ্ট জনবল রয়েছে। আশা করছি, আগামীতে ডায়রিয়ার প্রকোপ তেমন বাড়বে না। আর বাড়লেও যথেষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’

Islam's Group