বন্দরে জোড়া খুন : তিন পক্ষে বাবা ছেলের খেসারত

বন্দরে ব্যাটারি চালিত অটো স্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের টানা তিনদিনের সংঘর্ষের ২ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় উভয় পক্ষের মামলায় পৃথক পৃথক বাবা ছেলে আসামি হয়েছে, গ্রেপ্তার হয়েছেন। একই সাথে কারাবাস করছেন। আবার হত্যাকাণ্ড ঘটনাতে রয়েছে বাবা ছেলের ঘটনা। ছেলেকে না পেয়ে হত্যা করা হয়েছে বাবাকে। উক্ত ঘটনার মূলে একদিকে ছেলের অপকর্মে বাবাকে প্রাণ দিতে হয়েছে। আবার অন্যদিকে পিতাদের অপরাধমূলক কর্মকান্ডে আসামি হয়ে জেলে যেতে হয়েছে ছেলেদেরকে।

গত ২১ জুন রাতে বন্দর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার ও ইজিবাইক স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকার এবং বিএনপির কিছু নামধারীদের মধ্যে কয়েকমাস ধরেই দণ্ড চলছিল। এদের মধ্যে একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী রনি ও জাফর, পারভেজ এবং অপর একটি পক্ষের নেতৃত্বে দিচ্ছিলেন বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী বাবু সিকদার, বাবু ওরফে জুয়ারি বাবু ও শ্যামল।

এদিন উভয় পক্ষের সংঘর্ষের পর রনি গ্রুপের পারভেজকে না পেয়ে তার বাবা কুদ্দুসকে দোকান থেকে ডেকে এনে হত্যা করা হয়। কুদ্দুস হত্যা মামলায় সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকার ও তার ছেলেদের আসামি করা হয়।

অন্যদিকে একই রাতে বন্দর সিরাজদৌল্লা মাঠের সামনে মো. মেহেদীকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। মেহেদী হত্যা মামলায় রনি ও তার ছেলে রায়হানকে আসামি করা হয়।

দুইটি হত্যাকাণ্ড পর ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার। ে এসময় তিনি অপরাধীদের কোন প্রকার ছাড় না দেওয়ার বার্তা দিয়ে সবাইকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতার আনার কথা বলেন।

এরপর পুলিশ প্রশাসনের দ্রুত তৎপরতায় দুটি মামলার প্রধান প্রধান আসামি করতে সক্ষম হয়। সেখানে গত ২৫ জুন ভোরে গাজীপুর সদরের গাজীপুরা ও বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কুদ্দুস হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকার ও তার দুই ছেলে জুনায়েদ ও ফারদিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে পুলিশ তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করেন। আগামী ৩০ জুন তাদের রিমান্ড আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

অপরদিকে শুক্রবার ২৭ জুন দিবাগত রাত ১টায় মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. রনি (৪২) ও তার ছেলে মো. রায়হান কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার ২৮ জুন তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করা হয়।