সেলিম ওসমান ‘বেইমান’ বললেন মুকুল

নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সাবেক এমপি সেলিম ওসমান দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। ৫ আগষ্টের আগে তিনি যখন এমপি ছিলেন তখন তার সাথে বন্দরের সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলের একটি সখ্যতা ছিলো। রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন হলেও তাদের একাধিকবার একমঞ্চে এক টেবিলে দেখা গেছে। এজন্য লাভের পাশাপাশি মাশুলও গুনতে হয়েছে মুকুলকে। সবশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এক সভায় সেলিম ওসমান বলেন, মুকুল তার জন্য গোপনে কাজ করবেন। এরপরই বিএনপি থেকে বহিষ্কার হন মুকুল। তবে সেই ঘটনার জন্য সেলিম ওসমানের উপর ক্ষোভ ঝেড়ে কেন রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকার পরও তার সাথে কাজ করেছেন সেই বিষয়ে মুখ খুলেছেন মুকুল।

২৭ জুন শুক্রবার বন্দরে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সেলিম ওসমানকে ‘বেইমান’ আখ্যা দিয়ে মুকুল বলেন,  আমি যখন বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান হলাম তখন দেশের সকল উপজেলা চেয়ারম্যানরা (বিএনপিপন্থী) মিলে ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) সাথে দেখা করতে গেলাম। সেখানে আমি তাকে বলেছি ম্যাডাম আমাদের দলের তো কোনো এমপি আমার এলাকায় এখন নেই যিনি আছেন তিনি অন্য দলের। আমরা কি তার সাথে কাজ করবো। তখন ম্যাডাম বলেছেন, জনগণ তোমাদের ভোট দিয়েছেন। তাদের জন্য হলেও তোমাদের এমপিদের সাথে কাজ করতে হবে।

মুকুল আরো বলেন, বেইমান সেলিম ওসমান সরমক্ষেত্রে সমাবেশ ডেকে বলেছিলো যে মুকুল গোপনে আমারটা (২৪ নির্বাচন) করবে। গোপনে করলে কেউ জনসমাবেশে বলে? সে মিথ্যা বলেছে। আবার বলেছে আমি নাকি ১১ টা গরু জবাই করে খাওয়াবো! সে বন্দরে এমপি হওয়ার পর থেকে আমাকেই প্রতিদ্ব›দ্বী ভেবেছে আমার জনপ্রিয়তার জন্য। তিনি আমাকে বলেছে তুমি রাজনীতি ছেড়ে দাও, তার স্ত্রীকে দিয়েও বলিয়েছে। কেন বলেছে? শুধু আমার ভয়ে।

তবে মুকুল এখন সেলিম ওসমানকে বেঈমান বা তার সাথে তার সম্পর্ক ছিলোনা এমন কথা বললেও অনেকে এটিকে মেনে নিতে পারছেন না। কারণ তারা মনে করছেন, এখন রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের জন্যই এই কথা বলা হচ্ছে। আগে থেকে সতর্ক থাকলে এখন মুকুল কিংবা বন্দরের অন্যান্য বিএনপি নেতাদের ওসমান ঘনিষ্ঠ তকমা নিয়ে থাকতে হতোনা বলেও জানান অনেকে।