ক্লিন ইমেজের খোঁজে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান। তার জীবনের সাথে জড়িয়ে থাকা পুরনো ইতিহাসের পাতা বন্ধ করে তিনি এখন নিজেকে যেন নতুন করে সবার সামনে উপস্থিত করছেন। কথাবার্তা ও চাল-চলনে তেমন পরিবর্তন না আসলেও জাকির খান সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছেন নিজেকে পরিবর্তন করে ক্লিন ইমেজ গঠনের জন্য। আলোচিত ও সমালোচিত সাবেক এই ছাত্রদল নেতা গত মাসের ৭ তারিখে কারাগার থেকে মুক্ত হন। এর আগে দীর্ঘবছর বিদেশে পলাতক ছিলেন। তবে আওয়ামী লীগ আমলে দেশে এসে গোপনে পরিবারের সঙ্গে বসবাস শুরু করেন এবং ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ পতনের পর নতুন সরকার গঠনের কয়েকমাস পর জাকির খান একে একে তার বিরুদ্ধে থাকা হত্যা ও চাঁদাবাজি সহ সকল মামলা থেকে খালাস পান। মুক্ত হয়ে এখন তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিএনপির সিনিয়র নেতাদের বাড়ি বাড়ি। এরমধ্যে বিএনপির কেন্দ্রী কার্যালয়ে গিয়ে রুহুল কবির রিজভীর সাথে দেখা করে কথা বলেছেন।
এছাড়া বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও বরকতুল্লাহ বুলুর সাথেও দেখা করেন। তবে নিজেকে সকলের সাথে সম্পৃক্ত করতে জাকির খান আরো একটি কাজ করে চলেছেন। সেটি হলো তিনি প্রতি সপ্তাহে শহরের বিভিন্ন মসজিদে গিয়ে জুম্মার নামাজ আদায় করছেন এবং মিম্বারের সামনে দাঁড়িয়ে ইতিবাচক বক্তব্যও রাখছেন।
জানা গেছে, নব্বইয়ের দশকে নারায়ণগঞ্জ শহরে এক ধরনের ত্রাশের রাজত্বই কায়েম করেছিলো জেলা ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি জাকির খান। বিভিন্ন সেক্টরে আধিপত্য বিস্তার, শোডাউন, মারামারি, খুন ও চাঁদাবাজির সাথে সম্পৃক্ততা ছিলো জাকির খান ও তার অনুসারীদের। রাজনীতিবিদদের মতে, ওই সময় আধিপত্য বিস্তার করেই রাজনীতি করতে হতো এবং এটির একটি আলাদা সংষ্কৃতি গড়ে উঠেছিলো তখন। তাই শুধু জাকির খানই নন, তার মতো আরো অসংখ্য রাজনৈতিক নেতাদের রাজনীতিতে টিকে থাকার প্রধান হাতিয়ার ছিলো আধিপত্য বিস্তার বা ক্যাডার ভিত্তিক রাজনীতি। তবে বর্তমানে সেই সুযোগ আর নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যুগে ছোট ছোট ঘটনাও মুহুর্তে সারাদেশে ছড়িয়ে যায়। এটি ভালো এবং মন্দ দুটোর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তাই জাকির খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন ইতিবাচক কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন তার অনুসারীরা।
আপনার মতামত লিখুন :