রাতভর নাটকীয়তা শেষে শুক্রবার ভোরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীকে তার নিজ বাসা দেওভোগের চুনকা কুটির থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর যেই গাড়িতে করে তাকে নিয়ে যাওয়া যচ্ছিল সেটি দেওভোগ থেকে বের হয়ে বিবি রোডের কালীরবাজার গ্রীন্ডল্যাজ ব্যাংকের সামনে পৌছানো মাত্রই ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয় পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে। এ সময় একটি ককটেলও বিষ্ফোরন হয় সেখানে। পরে জানা যায় এতে অন্তত দুজন পুলিশ গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে কি কারণে এবং কারা আইভীকে বহনকারী গাড়িতে হামলা চালালো তা নিয়ে চলছে আলোচনা ও সমালোচনা। ৫ আগষ্টের পর গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের অনেকে এমন হামলার শিকার হয়েছেন আদালত চত্তরে। তবে এই বিষয়টি অনেকেই মেনে নিতে পারছেনা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দেওভোগের চুনকা কুটির থেকে আইভীকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহীনির সদস্যরা দুইনং রেলগেট পর্যন্ত নিয়ে আসার সময়ও কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। তবে সকাল ৬টায় কালীর বাজারের মোড়ে আসা মাত্রই একদল যুবকের নেতৃত্বে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী এ বিষয়ে জানান, আমরা এখনো জানিনা কারা কেন এখানে এসে হামলা করলো। হামলার কারণে আমাদের দুজন পুলিশ গুরুতর আহত হয়েছে। এ বিষয়ে একটি জিডি করা হয়েছে। চেষ্টা করবো যারা এই ঘটনার পেছনে ছিলেন তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে।
তবে এই হামলার পেছনে কারা ছিলো সেটি পুলিশ না জানলেও বিষয়টি সবার কাছে অজানা নয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে যখন আইভীর বাড়িতে পুলিশ প্রবেশ করে এর ঠিক কয়েক ঘন্টা পরই শহরের ডিআইটি এলাকায় অবস্থান নেন স্থানীয় বিএনপির নেতারা। সেখানে মহানগর বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ উঠেছে তাদের মধ্যে থেকেই একটি গ্রুপ ভোরে আইভীকে বহনকারী পুলিশের গাড়িতে হামলা চালায়। এতে নেতৃত্ব দেন যুবদল নেতা রাফিউদ্দিন সজল ও তার অনুসারীরা। এছাড়া তাদের সাথে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সাখাওয়াত হোসেন রানার অনুসারী শহীদ নগর এলাকার শাকিলও উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আইভী নারায়ণগঞ্জের মেয়র থাকা অবস্থায় বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমনের চেষ্টা না করায় এখন প্রশ্ন উঠেছে কেন তাকে বহনকারী গাড়িতে হামলা চালানো হলো? অনেকে আবার বলছেন কার নির্দেশে বা এই হামলা চালানো হলো?
আপনার মতামত লিখুন :