নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার কায়েমপুর এলাকাতে এবিসি স্কুলের সামনে এক ব্যক্তির চায়ের দোকান দখলের অভিযোগ উঠেছে ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক এসকে শাহীনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ৫ সেপ্টেম্বর সকালে লোকজন দিয়ে ওই দোকান উচ্ছেদ করা হয়। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায অভিযোগ দেওয়াতে উল্টো তাকে মারধরের শিকার হতে হয়েছে।
কাইউম নামের ওই ব্যক্তি লিখিত অভিযোগে জানায়, তিনি ১০ বছর ধরে চায়ের দোকানদারী করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। কয়েকদিন ধরে এসকে শাহীন সহ ১০-১২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার দোকানে গিয়ে ভাড়া চায়। কিন্তু আমি ভাড়া দিতে অনীহা প্রকাশ করি। ৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে শাহীনের লোকজন এসে আমার দোকান ভাঙচুর শুরু করে। ক্যাশবাক্সে থাকা ১৪শ টাকা লুটে নেয়। ভাঙচুর করে মালামাল। বাধা দিলে আমাকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
কাইউমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি ফতুল্লার রিয়াদ চৌধুরীকে জানিয়েছিলেন। তিনি শনিবার দুই পক্ষকে নিয়ে বসবেন আশ^স্ত করেন। কিন্তু তার পরে ও শাহীন লোকজন নিয়ে দোকান ভাঙচুর করে। পরে তিনি থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ যায়। তখনও তাকে মারধর করা হয়।
‘এ দোকানের টাকা দিয়ে আমার সংসার চলে, আমি এখন নিঃশে^স হয়ে গেলাম। কয়েকদিন আগে আমি বিএনপি নেতা জাহিদ হাসান রোজেল ভাইয়ের ছবি টাঙানোর পর থেকেই আমার উপর জিদ চেপে বসে শাহীনের’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন কাইউম।
এ ব্যাপারে এক শাহীন বলেন, এটা আমার মালিকানাধীন জমি। পেছনে একটি গ্যারেজ আছে। তাদের সুবিধার্থে সামনে জায়গা খালি করে এখানকার দোকানদের পাশে শিপট করে দিচ্ছিলাম। আগে হতেই সবাইকে জানিয়েছিলাম। কাইউম দোকান না সরানোর কারণে আমরা নিজেই খুলে ফেলি।
জেলা স্বেচ্ছাসেব দলের আহবায়ক মাহাবুবুর রহমান জানান, বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই জমির মালিক মূলত মনির সিকদার। তার কাছ থেকে ভাড়া এনে এখন জমির মালিকানা দাবী করছেন শাহীন। এ নিয়ে একাধিকবার শালিস হয়। সেখানে শাহীন দাবী করেন পাশের এবিসি স্কুলে তিনি জমির অংশ পাবেন। ওইটা উদ্ধার না করে দিলে জায়গা ছাড়বেন না শাহীন।
আপনার মতামত লিখুন :