ফতুল্লার পাগলা মুন্সিখোলার একটি পরিত্যাক্ত দোকান থেকে বশির (৪০) নামের এক ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের স্বজনদের দাবী বশির কে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয়েছে। নিহত বশির ফতুল্লা মডেল থানার পাগলা জেলেপাড়া এলাকার বাসীন্দা।
শুক্রবার বেলা ১২টায় ফতুল্লা মডেল থানার পাগলা মুন্সিখোলাস্থ একটি পরিত্যক্ত দোকান ঘর থেকে নিহত বশিরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের মেয়ে জানায়, সকাল ১০টায় তার বাবা বাসা থেকে বের হয়। বের হওয়ার সময় তাকে জিজ্ঞেস করেছিলো কিছু খাবে কিনা। কিন্ত মেয়েটি বলে কিছু খাবেনা। কিছুক্ষণ পর লোকমুখে জানতে পারে তার বাবার লাশ দোকানের ভিতর পরে আছে। ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পায় তার বাবার মৃত দেহ দোকানের ভিতর পরে আছে। তার দাবী পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয়েছে। পাশের দোকানের লোকজনই তাকে হত্যা করেছে।
প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, সকাল ১০ থেকে সাড়ে দশটার দিকে নিহত বশির পরিত্যক্ত দোকান থেকে রড নিয়ে বের হয়। পরবর্তীতে আবার দোকান ঘরে প্রবেশ করে। তারপর আর বের হয়নি। তাদের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে। তারা জানান, নিহত বশীর একজন মাদকাসক্ত ছিলো।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) মো. হাসিনুজ্জামান জানান,সংবাদ পেয়ে তিনি সহ ফতুল্লা থানা পুলিশের একাধিক টিম বেলা ১২ টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌছান। সেখানে গিয়ে ঘটনাস্থলের পাশের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিসি ফুটেজে দেখতে পান সকাল ১০টার দিকে নিহত বশির পরিত্যক্ত ঐ দোকান থেকে একটি লোহার রড নিয়ে বের হয়। পরবর্তীতে আবার এক ঘন্টা পর বশির দৌড়ে ঐ পরিত্যাক্ত দোকান ঘরে প্রবেশ করে। বেলা ১২টার দিকে সংবাদ পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌছান। নিহতের শরীরে দৃশ্যমান কোন আঘতের চিন্থ নেই। তবে নিহতের নাক দিয়ে রক্ত বের হয়েছিলো।নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরহতাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে। নিহত বশির মাদকাসক্ত ছিলো বলে তিনি তার (নিহতের) পরিবারের নিকট থেকে জানতে পেরেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :