নগরীর বাবুরাইল ও জিমখানা লেক ধীরে ধীরে আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে। লেকের আশপাশের বাসিন্দারা বাসা বাড়ির ময়লা থেকে শুরু করে ঘরের লেপ তোষকও ফেলছেন লেকের পানিতে। এছাড়া কচুরিপানা, প্লাস্টিক, ককশিট জমতে জমতে দুইশ কোটি টাকায় নির্মিত দৃষ্টিনন্দন এই জায়গাটি এখন দূষণে বিপন্ন।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, লেকের দেওভোগ, জল্লাপাড়, বাবুরাইল, আমবাগান, চৌধুরীবাড়ি ও কাশিপুর এলাকার কিছু কিছু জায়গায় কচুরিপানা ও প্লাস্টিক আবর্জনার কারণে অনেকটা ময়লার স্তুপে পরিণত হয়েছে।
গত শনিবার সকালে বাবুরাইল ও জল্লারপাড় লেকে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম করে নগর ভাবনা নামে একটি সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা। আবুল কালাম নামে সেই সংগঠনের এক সদস্য বলেন, লেকের দুই দিকের মানুষ তাদের ঘরের ময়লাও এখন এখানে ফেলছে। আমরা লেপ তোষক থেকে শুরু করে এমন কিছু নেই যা এখান থেকে পাইনি। এটা তো আমাদের এই শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বানানো হয়েছে। কিন্তু যাদের জন্য বানানো হলো তারাই এটাকে দিনদিন নষ্ট করে ফেলছে। মানুষ যদি সচেতন না হয় তাহলে কয়েক বছরের মধ্যে দেখা যাবে আবার আগের রূপে ফিরে যাবে এটি। তখন দুর্গন্ধে তাদেরই কষ্ট হবে যারা নষ্ট করছে।
খালের পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে অংশ নিয়ে নাসিকের ১৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস বলেন, বাবুরাইল ও জিমখানা লেক নারায়ণগঞ্জ শহরের সৌন্দর্য অনেক বাড়িয়েছে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটি পাওয়া। কিন্তু আমরা দিনদিন এটা নষ্ট করে ফেলছি। আমি মনে করি এই লেক আমাদের সম্পদ। এটা টিকিয়ে রাখতে হলে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।
জানা গেছে, বাবুরাইল ও জিমখানা লেক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সিটি করপোরেশন থেকে স্থানীয় বেশ কয়েকজনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা লেকে মাছ চাষের পাশাপাশি লেকটি আবর্জনা মুক্ত রাখবে এই শর্তে। তবে লেকে মাছ চাষ হলেও আবর্জনা মুক্ত রাখা কোনো ভাবেই সম্ভব হচ্ছেনা।
এদিকে এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, লেকটি দেখভালের জন্য আমাদের যেই জনবল নিয়োগ দিতে হবে তা এখন করা সম্ভব নয়। তাই আমরা কয়েকজন ব্যক্তিকে দায়িত্ব দিয়েছি যে তারা এটি পরিষ্কার রাখবে। কিন্তু এতে কাজ হচ্ছেনা। লেকের আশপাশের মানুষ অসচেতন। তারা এখানে আবর্জনা ফেলছে। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় তারাই এর জন্য সমস্যায় পড়বে।
আপনার মতামত লিখুন :