গত এক মাসে বৃষ্টিতে তিন বার ভেঙেছে নারায়ণগঞ্জের তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কের বিভিন্ন অংশ। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর থেকে একদিক মেরামত করা হচ্ছে তো অন্যদিক ভেঙে পড়ছে। সবশেষ গত চারদিন আগেও সেতুর পূর্ব দিকের এপ্রোচ সড়কের বড় একটি অংশ ভেঙে যায়। এর আগে পশ্চিমদিকের আরো দুইটি পৃথক স্থানে ভাঙন দেখা যায়। ভাঙনের এই ধারবাহিকতা এখনো চলছে।
স্থানীয়রা বলছেন, সেতুটি নির্মণের পর সেতু থেকে বৃষ্টির পানি নামার জন্য আলাদা কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা বা পানি নামার আলাদা চ্যানেল রাখা হয়নি। যার কারণে বৃষ্টি হলে ব্রিজ থেকে পানি যখন নিচের দিকে গড়িয়ে পড়ে তখন সংযোগ সড়কের নিচের মাটিও সাথে নিয়ে নামছে এবং এক পর্যায়ে ভাঙন সৃষ্টি হচ্ছে। তবে সাওজের প্রকৌশলীদের দাবি, ব্রিজের পানি নামার জন্য পাশ দিয়ে পাইপের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিলো। সেই পাইপ স্থানীয়রা বন্ধ করে দেয়ায় এখন এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজের সংযোগ সড়কের যেসব স্থানে ভাঙন তৈরি হয়েছে সেগুলো নতুন করে মেরামত করার কাজ শুরু করেছে সওজ। এ সময় বন্দরের ফরাজিকান্দা এলাকার এক বাসিন্দা তপন হোসেন বলেন, ছয়শ কোটি টাকা দিয়া নাকি এই ব্রিজ বানাইছে। এতো টাকার ব্রিজ কেন বৃষ্টির পানিতে ভাইঙ্গা পড়বো। ইঞ্জিনিয়াররা যাই বলুক তাদের কথার কোনো ভিত্তি নাই। বেশিদিন তো হয়নাই ব্রিজের বয়স। এখই যদি এমন শুরু হয় সামনে তো অবস্থা আরো খারাপ হবে। আমার মনে হয় আওয়ামী লীগের আমলে সব জায়গায় এমন উন্নয়ণ হইসে।
আনোয়ার হোসেন নামে এক অটোচালক বলেন, ব্রিজটা কিভাবে বানাইসে তা আল্লাহই ভালো বলতে পারবে। আমার মনে হয় দেশে অন্য কোথাও এতো দ্রæত কোনো ব্রিজ ভাঙে নাই। ইঞ্জিনিয়াররা বলে রাস্তা ভাঙছে ব্রিজ ভাঙে নাই। কিন্তু আমার কথা হলো রাস্তা ভাঙতে ভাঙতেই একদিন দেখা যাইব ব্রিজ ভাইঙ্গা গেছে। তখন কি বলবো তারা? এখন কি করলে এই ভাঙন বন্ধ হইব সেটা দ্রুত করা দরকার।
জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আল রাজী লিয়ন বলেন, সেতুর উপরের অংশে একাধিক স্থানে পানি সরানোর জন্য পাইপের ব্যবস্থা করা হলেও পাইপের প্রতিটি মুখ স্থানীয়রা বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে পানি শুধুমাত্র এই স্থান দিয়ে সরে যেতো। ফলস্বরূপ গত টানা বৃষ্টিতে সড়কটির একটি অংশে ভেঙে গেছে। তবে আমরা এর একটি স্থায়ী সমাধানের পথ খুঁজছি।
আপনার মতামত লিখুন :