নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দেওভোগ ও মাসদাইর এলাকার বহু বছর আগের বোয়ালিয়া খাল ভরাট করে সড়ক নির্মাণ করার পর থেকে এর খেসারত দিতে হচ্ছে স্থানীয় প্রায় এক লাখ বাসিন্দাকে।
জানা যায়, এই খালটি গলাচিপা, মাসদাইর হয়ে বিসিকের কালিয়ানী খালের সাথে সংযুক্ত ছিলো। তাই তুলনামূলক নিচু এলাকা হলেও খালটির কারণে মাসদাইর ও এর আশপাশের এলাকাগুলোতে দীর্ঘস্থায়ী বৃষ্টিতেও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতোনা। তবে কয়েক বছর আগে সিটি করপোরেশন এই খাল ভরাট করে সড়ক নির্মাণ করে। এরপর থেকে থেকে সামান্য বৃষ্টি হলেও ডুবে যাচ্ছে ১৪ নং ওয়ার্ডের শেরে বাংলা সড়কের পূর্ব দিকের একাধিক এলাকা। এরমধ্যে একতা সড়ক, ভূঁইয়ারবাগ ও দাতা সড়ক এলাকায় বেশি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
অন্যদিকে খাল ভরাটের জন্য সবচেয়ে বেশি খেসারত দিতে হচ্ছে ১৩ নং ওয়ার্ডের মাসদাইর ও গলাচিপা এলাকার সাধারণ মানুষকে। সব মিলিয়ে প্রায় এক লাখ বাসিন্দা এর জন্য ভোগান্তি পোহাচ্ছে বলে জানা গেছে।
গলাচিপা এলাকার বাসিন্দা সাইদুর ইসলাম বলেন, বৃষ্টিতে শহরের সব এলাকায় পানি জমলেও তাড়াতাড়ি নেমে যায়। কিন্তু আমাদের এখানে বৃষ্টির পানি সহজে নামেনা। ঘরের ভিতরে পানি ঢুকে যায়, রাস্তায় পানি জমে থাকে। তখন কিছু করা যায়না।
১৪ নং ওয়ার্ডের একতা সড়ক এলাকার এক বাসিন্দা জানে আলম বলেন, আইভী আপা কি কইরা গেল, আমরা এখনও সেটার ফল ভোগ করতাছি। তিনি এত শিক্ষিত মানুষ হয়েও কিভাবে খাল ভরাট করে রাস্তা বানাইল। যেই এলাকায় জীবনে পানি দেখি নাই, সেখানেও এখন পানি জমে থাকে। আমার এলাকায় আমি ছোট বেলায় দুইদিন বৃষ্টি হইলেও পানি খাল দিয়া নেমে গেছে। এখন একঘন্টা বৃষ্টি হইলে দুইদিন পানি থাকে। ড্রেনগুলোও ঠিকমতো পরিষ্কার করা হয়না। সমস্যার কথা বলতে গেলে শেষ হবেনা। আমরা এটার সমাধান চাই। নাইলে সিটি করপোরেশন ঘেরাও করা হবে।
তবে এর সমাধানের কথা জানিয়ে নাসিকের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ বলেন, আমরা মাসদাইর এলাকায় একটি নতুন খাল তৈরির পরিকল্পনা করছি। এটার কাজ অনেকটা এগিয়ে রাখা হয়েছে। হয়ে গেলে মাসদাই, দেওভোগের জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান হবে।
আপনার মতামত লিখুন :