বন্দরে বিএনপির দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জোড়া খুনের ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় বিএনপির বহিস্কৃত নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর হান্নানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তার দুই ছেলে জুনায়েদ ও ফারদিনকে দুই দিনের জেলগেটে জিজ্ঞাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ৩০ জুন দুপুরে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে উঠানো হলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈনউদ্দিন কাদির শুনানী শেষে এই আদেশ প্রদান করেন।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, আব্দুস কুদ্দুসকে হত্যার দায়ে বন্দর থানার দায়ের করা মামলায় হান্নান সরকার ও তার দুই ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিলো পুলিশ। আদালতের ধার্য তারিখ অনুযায়ী এদিন শুনানী শেষে হান্নান সরকারকে ২ দিন এবং তার দুই ছেলেকে দুই দিনের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন।
এর আগে গত ২৫ জুন ভোরে গাজীপুর সদরের গাজীপুরা ও বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন বিকেলে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী নিশ্চিত করেছিলেন।
তার আগে গত ২১ জুন রাতে বন্দর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার ও ইজিবাইক স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। হান্নান সরকার এবং বিএনপির কিছু নামধারীদের মধ্যে কয়েকমাস ধরেই দ্ব›দ্ব চলছিল। এদের মধ্যে একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী রনি ও জাফর, পারভেজ এবং অপর একটি পক্ষের নেতৃত্বে দিচ্ছিলেন বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী বাবু সিকদার, বাবু ওরফে জুয়ারি বাবু ও শ্যামল।
গত শনিবার বিকেলে উভয়পক্ষ শাহী মসজিদ, বন্দর রেললাইন ও হাফেজীবাগ এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দেন। রাতে বন্দর রেললাইন এলাকায় কুদ্দুস মিয়াকে (৬০) সড়কের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনার জের ধরে সাড়ে ১১টার দিকে রনি ও জাফর গ্রুপের লোকজন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মেহেদী হাসানকে (৩৮) ধরে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় একটি ক্লাবের সামনে নিয়ে গিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করে ডাক্তার। এ ঘটনায় বন্দর থানায় দুটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :