ওয়াসা থেকে নারায়ণগঞ্জ শহরে পানি সরবরাহের দায়িত্ব নিয়ে চরম বিপদে পড়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। প্রতি বছর প্রতিষ্ঠানটি এর পিছনে কোটি কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে এখন। মাটির নিচে ঢাকা ওয়াসার রেখে যাওয়া অধিকাংশ পানির পাইপ ফেঁটে গেছে। বিভিন্ন এলাকায় পানির পাম্পের ভেতরে থাকা অধিকাংশ নলকূপের মটর বিকল হয়ে গেছে। চুরি হয়ে যাচ্ছে আরো যন্ত্রাংশ। তাই কয়েকদিন পর পর শহর, বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জ আঞ্চলের অবস্থিত নাসিকের ওয়ার্ডগুলোতে দেখা দিচ্ছে তীব্র পানি সংকট।
নগরবাসী বলছে নাসিকের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে গেছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আগামী নগরবাসীর সবচেয়ে বড় দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে এটি।
এদিকে নগরবাসী ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা বলছেন, ওয়াসা থেকে পানির দায়িত্ব নিয়ে সাবেক মেয়র আইভী একটি বড় ধরনের ভুল করে গেছেন।
নগরীর ১৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা তো আজকে ৫-৭ বছর ধরে কষ্ট করছি। এখন নতুন করে শহর বন্দরের আরো বেশ কয়েকটা ওয়ার্ডে দেখছি একই সমস্যা। সিটি করপোরেশনের মাটির নিচ থেকে সকল পাইপ উঠিয়ে নতুন পাইপ বসাতে হবে। দ্রুতই পাম্পগুলোতে নতুন মটর লাগাতে হবে যেগুলো টেকসই হবে। কারণ তাদের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে গেছে।
জানা গেছে, নাসিকের ২৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে অধিকাংশ ওয়ার্ডে পানির পাম্প রয়েছে। এসব পাম্প রক্ষণাবেক্ষণ, কর্মচারীদের বেতন, বিদ্যুৎ বিল এবং ক্যামিকেলের পেছনে মাসে সিটি করপোরেশনের খরচ ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা, আবার কখনো ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
অন্যদিকে গ্রাহকদের কাছে থেকে পানির বিল হিসেবে উত্তোলন করা হয় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। তাই মাসে মাসে পানির পেছনে মোটা অংকের টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে সিটি করপোরেশনকে।
জানতে চাইলে নাসিকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, আইভী আপা কেন ঢাকা ওয়াসা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের অধীনে পানি সরবরাহ করার দায়িত্ব নিয়েছেন তা আমার বোধগম্য নয়। এই শহরে মাটির নিচে ওয়াসার রেখে যাওয়া অধিকাংশ পানির পাইপ ফেঁটে গেছে। সেই ফাঁটা ছিদ্র দিয়ে মাটি, বালু ও তরল বর্জ্য পাইপে ঢুকে পানির সাথে মিশে যাচ্ছে। নগরবাসীর মধ্যে যারা একটু অসচেতন তারা সেই পানি ব্যবহার করে এবং পান করে নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে আমাদের পানি সরবোরাহ নিয়ে সামনে ভালো প্লান রয়েছে। সেটি বাস্তবায়ন করা হলে পানির সমস্যা সমাধান হবে।
আপনার মতামত লিখুন :