ঢাকা
বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঘর ভাড়া পাওনা নিয়ে ভাড়াটিয়ার সঙ্গে তর্কের জেরে মো. আবুল বাশার (৭০) নামের এক বাড়ি মালিকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জুন) রাত সাড়ে ১১ টায় নাসিক ১নং ওয়ার্ডস্থ পাইনাদি নতুন মহল্লা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ভাড়াটিয়া পরিবারের তিন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন: মো. তছর উদ্দিনেটর ছেলে সোহাগ হোসেন (২৯), সোহাগের স্ত্রী আলেহা বেগম (২২) এবং সোহাগের মা ফাতেমা বেগম (৪৫)।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ একবছরের বেশি সময় ধরে ভিকটিমের বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছেন আটককৃত অভিযুক্তরা। গেলো ৩ মাস ধরে ঘর ভাড়া পরিশোধ করতে ব্যর্থ হচ্ছে তারা। যার ফলে ভিকটিম উক্ত ভাড়াটিয়াদের বাড়ি ছাড়ার কথা জানান। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে প্রায় সময়ে ঝগড়া সৃষ্টি হচ্ছিল। এর ফলশ্রুতিতে সবশেষ গতকাল সোমবার রাতে বাড়ির মালিক অভিযুক্তদের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১১ টার সময়ে অভিযুক্ত সোহাগ বাসায় এসে দেখতে পান যে তাদের বাড়ির গেটটি আটকানো রয়েছে। তখন বাড়িওয়ালার ছেলে নাফিজ (৩৫) কে বিনয়ের সঙ্গে গেট খুলে দেয়ার জন্য অনুরোধ করে যান।
একপর্যায়ে গেট খুলে দিয়ে ভিকটিমের ছেলে নাফিজ উচ্চ মেজাজে ভাড়াটিয়া সোহাগের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়ান। এসময়
তাৎক্ষণিক ভিকটিমের আরেক ছেলে বাধন ও (৩২) ঘটনাস্থলে এসে উক্ত বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয় এবং দুইভাই মিলে ভাড়াটিয়া সোহাগের সাথে হাতাহাতি শুরু করে। উভয়ের
ঝগড়ার আওয়াজ শোনে সোহাগের স্ত্রী ও তার মা এবং বাড়ি মালিক ভিকটিম আবুল বাশার এসে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে। ঝগড়া থামাতে গিয়ে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ভিকটিম ধাক্কা লেগে পরে যান। পরে তাৎক্ষণিক আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অবস্থার অবনতি দেখে হ
প্রো অ্যাকটিভ না রাখলে পরবর্তীতে খানপুর ৩০০ শষ্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওইখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ধস্তাধস্তিকালীন সময়ে ভিকটিম অভিযুক্তদের ধাক্কায় নন তার নিজের ছেলে নাফিজের ধাক্কায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিল।
(ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, ৩ মাসের ঘর ভাড়া পাওনা নিয়ে ঝগড়া সৃষ্টি হয়। তখন ভিকটিমকে ভাড়াটিয়ারা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন এবং তিনি আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে খানপুর হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে। আমরা ভাড়াটিয়াদের সাথে সাথে আটক করেছি। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রুজুর প্রস্তুতি চলমান।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ভাড়াটিয়া নয় নিজের ছেলের ধাক্কায় আহত হয়েছিল আবুল বাশার একথার উত্তরে তিনি বলে, এটা আটকদের কথা। তারা বলতেই পারে।
আপনার মতামত লিখুন :