নারায়ণগঞ্জের দিগুবাবুর বাজারে পেঁয়াজের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দামও অনেক বেড়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাজারে খুচরা প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকায়। আর পাল্লা (৫ কেজি) বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকায়। অন্যদিকে বাজারের আড়ৎগুলোতে পাইকারী দরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের স্থানীয় আড়ৎ থেকে উচ্চমূল্যে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। তাই বিক্রিও করছেন বেশি দামে। বাজারের আড়ৎদার ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় এবং দেশি পেয়াজের মৌসুম শেষ হয়ে আসায় বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে বাজার কিছুটা বেশি।
শফিকুল ইসলাম নামে দিগুবাবুর বাজারের মীরজুমলা সড়কের এক খুচরা পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বলেন, আড়ৎে মাল নাই। যা আছে সেই মাল বেশি দামে কিনতাছি। তাই বিক্রিও বেশি। এখন ছোট পেঁয়াজ ১৩০ আর বড় পেঁয়াজ ১৪০ টাকা বিক্রি করতাছি। পাল্লা বিক্রি করি ৭০০ টাকায়। দাম বেশি থাকায় কাষ্টমার ফেরত যাচ্ছে। বেঁচাকেনা কমে গেছে। কিন্তু কিছু করার নাই। বান্দা কাষ্টমারের উপর টিকে আছি।
আরো এক খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, আমদানি তো কম। তাই দাম বাড়ছে। নতুন পেঁয়াজ উঠলে তারপর যদি কমে। আমরা কমে কিনতে পারলে পরে তো কম দামে বিক্রি করবো। কাষ্টমার বুঝেনা। নানান কথা বলে বসে। অনেকে তো দাম শুনেই হাঁটা দেয়। আমদানি না বাড়লে বাজার এমনই থাকবো। বাকিটা আড়ৎ মালিকগো গিয়া জিজ্ঞেস করেন।
বাজারের ইউনুস ট্রেডার্সের মালিক সাইফুল ইসলাম বলেন, এলসি বন্ধ। পুরান পেঁয়াজের শেষ মৌসুম চলছে। তাই আমরা পাবনাসহ যেসব জেলার হাট থেকে মাল কিনে আনি সেখানেও সংকট চলছে। নতুন পেঁয়াজ উঠলে দেখা যাবে দামবে। কারণ তখন সরবোরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এদিকে মনে করেন ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের আমদানিও করা সম্ভব হচ্ছেনা।
এদিকে বাজারে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় হতাশ ক্রেতারা। বৃহস্পতিবার বাজারে আসা এক নারী বলেন, তাদের (বিক্রেতা) তো অজুহাতের শেষ নেই। এখন বলবে ক্ষেতে পেঁয়াজ নেই। কাল বলবে আবার আরেকটা। এভাবেই তো চলছে। আমরা খালি শুনেই যাচ্ছি। গত সপ্তাহেও এত বেশি ছিলো। আজকে হঠাৎ করে কি হলো বুঝতে পারছিনা। এক কেজি পেঁয়াজ ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় কিনতে হলে খাবো কি?








































আপনার মতামত লিখুন :